কলকাতা, ১৭ নভেম্বর: কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য দিল্লিতে (Delhi) স্কুল, কলেজ বন্ধ (School-College)। হ্যাঁ, দিল্লির দূষণের(Delhi Pollution) জন্যই এই সিদ্ধান্ত। একই সঙ্গে ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার কথাও জানানো হয়েছে। দিল্লিতে প্রতি বছরই নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মাথাব্যথার কারণ দাঁড়ায় দূষণ (Severe Air Quality)। তবে দূষণের কথা মাথায় রেখে দিল্লি ও এনসিআর-এর অফিসগুলোর জন্য আগেই বেশ কিছু সতর্কতা জারি করেছিল প্রশাসন। যতটা সম্ভব কম বাইরে বের হতে বলা হয়েছে। গাড়ির ব্যবহার কমাতে বলা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার একেবারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জারি করা ৯ পাতার নির্দেশিকায় সিএকিউএম এনসিআর-এর (ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়ন বা বৃহত্তর দিল্লি) অন্তর্গত রাজ্য সরকারগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে, যেন ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অন্তত প্রতি কার্যালয়ে ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করানো হয়। দিল্লি ও দিল্লি পার্শ্ববর্তী শহরগুলির সব স্কুল ও কলেজ পরবর্তী নোটিM দেওয়া না পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এনসিআর এলাকায় পড়ছে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ। আরও পড়ুন: করতারপুর করিডর খুলছে, পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত শিরোমণি গুরুদ্বারের জাঠা
বেসরকারি কার্যালয়গুলোকেও বাধ্যতামূলক ভাবে অর্ধেক কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করানোর নির্দেশিকা পালন করতে হবে। উল্লেখ্য, দীপাবলির সময় থেকেই বিষাক্ত ধোঁয়াশায় রাজধানী দিল্লি। মাত্রাতিরিক্ত দূষণে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনের। এই পরিস্থিতিতে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM)-এর এই নয়া নির্দেশিকা রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণেই এক পদক্ষেপ। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালীন বন্ধ ঘোষণার পাশাপাশি তাদেরকে পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ক্লাস করানোর কথা বলা হয়েছে। ঠিক যেমনটা হয়েছিল কোভিডের লকডাউনের সময়।
অবশ্য ২১ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি NCR-এ সব ধরনের নির্মাণকাজ ও ভাঙাভাঙির কাজ বন্ধ থাকবে। তবে রেল, মেট্রো, বিমানবন্দর, বাস টার্মিনালে ছাড় রয়েছে। ছাড় রয়েছে দেশের সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষার সঙ্গে জড়িয়ে প্রকল্পের ক্ষেত্রেও। পাশাপাশি দিল্লি ও NCR রাজ্যগুলিতে আপাত ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বহনকারী ছাড়া আর অন্য কোনও ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ১৫ ও ১০ বছরের বেশি পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ির রাস্তায় নামানো যাবে না। গাড়িচালকদের কাছে অতি অবশ্যই দূষণ নিয়ন্ত্রণ সার্টিফিকেট থাকতে হবে।