দিল্লি হাইকোর্ট (Photo Credit: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৪ জানুয়ারি: এখনও মাস পোহায়নি। চলতি মাসের ৫ তারিখ দিল্লির জেএনইউ-এর (JNU) সবরমতী হস্টেলে (Sabarmati Hostel) ঘটে যায় এক নক্কারজনক ঘটনা। যার আঁচে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সারা দেশ (India)। দেশের সমস্ত নাগরিক নিন্দায় সরব হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে ছাত্র-শিক্ষক পেটানোর ঘটনায়। এই ঘটনার পর বিভিন্ন তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। তবে ফি কম করার দাবিতে আন্দোলন চলছে তারও আগে থেকে। তিন দিন আগেই হস্টেলের ফি বৃদ্ধির (Hostel Fee) বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) আবেদন জানান জেএনইউএসইউ প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ (Aishi Ghosh)। যা নিয়ে আজ শুক্রবার খুশির খবর শোনাল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন বেলা গড়াতেই দিল্লির আদালত জানিয়ে দেয় ফি বৃদ্ধি হচ্ছে না জেএনইউতে। পুরনো ফি-তেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য ফর্ম ভরতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা।

সেই সঙ্গেই আদালত এদিন জানিয়ে দেয় লেট ফাইনও ভরতে হবে না। যে সব পড়ুয়ারা শীতকালীন পর্বের পরীক্ষার (Winter Semester) জন্য ফর্ম ভরবেন তারা পুরনো মুল্যেই ফর্ম ভরতে পারবেন। বার এন্ড বেঞ্চের খবর অনুযায়ী, তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই পরীক্ষার জন্য ফর্ম ভরতে হবে। আদালত আরও স্পষ্ট জানিয়েছে যে, সংরক্ষিত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পুরানো হোস্টেল ফি বহাল থাকছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের (জেএনইউএসইউ) সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হোস্টেল ফি-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যে আবেদন জানায় সেই আবেদনের রায় দেয় এদিন আদালত। আদালতের রায় দেন বিচারপতি রাজীব শাকধারের একক বেঞ্চ। আরও পড়ুন: JNU Violence: জেএনইউ-এর আহত ছাত্র নেতা ঐশী ঘোষের বিরুদ্ধে FIR বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের!

হস্টেলের ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন জানান জেএনইউএসইউ ঐশী ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার-হল প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জেএনইউয়ের তিন অফিস কর্মীও। ছাত্র সংসদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া ‘বেআইনিভাবে’ জেএনইউয়ের হস্টেল ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জেএনইউএসইউয়ের (JNUSU) আবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতি শিক্ষাবর্ষেই হস্টেল ভাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের ভাড়া ১০ শতাংশ করে বাড়নো হবে।’ এদিকে, কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ নিশাঙ্ক পোখরিয়াল (Ramesh Nishank Pokhriyal) ইতিমধ্যেই জানান, দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থানকারী পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে হস্টেল ফি-র ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে।