রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতীকী ছবি United Nations

নতুন দিল্লি, ১৬ জানুয়ারি: কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যুকে মধ্যমণি করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সহযোগিতা পাওয়ার চেষ্টা করে ফের ব্যর্থ পাকিস্তান। চিন পূ্র্ণ সহযোগিতা করলেও ফ্রান্স-সহ বাকি দেশগুলির তীব্র বিরোধিতায় সেই পাকিস্তানের আশায় একেবারে ছাই পড়ল। এদিন চিনের জোরাজুরিও ধোপে টিকল না। রাষ্ট্রপুঞ্জের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে (UN Security Council) কাশ্মীর প্রসঙ্গ শুনতেই চাইলেন না স্থায়ী সদস্যেরা। উল্টে চিন ও ইসলামাবাদকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের এই মঞ্চ এইসব আলোচনা শোনার জন্য নয়। চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্ক সিটি ও ওয়াশিংটন ডিসিতে সফর করেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি। বন্ধু চিনের হাত ধরে ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের আসরে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার জন্য তদ্বির করেও পাকিস্তানের মুখ পুড়ল।

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী সদস্য সৈয়দ আকবরউদ্দিন এদিন ইসলামাবাদকে নিশানা করে বলেন, “মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে পাকিস্তান বরাবরই এই মিথ্যাচার করে আসছে। গতকালের বৈঠকেও তেমনটাই হয়েছে।”চিনের নাম না করেই আকবরউদ্দিন বলেন, “আমরা আবারও দেখলাম রাষ্ট্রপুঞ্জের শুধুমাত্র একজন সদস্যই পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে এই প্রসঙ্গ তুলল। কিন্তু বাকিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারল না।” তিনি টুইট বার্তায় জানান, “রাষ্ট্রপুঞ্জে আমাদের পতাকা সবচেয়ে উঁচুতে উড়ছে। আর যারা মিথ্যা নিশান উড়িয়েছে তাদের সঠিক জবাব দিয়েছে আমাদের বন্ধুরা।” এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের রাশিয়ার আধিকারিক দিমিত্রি পোলিয়ানস্কি জানিয়েছেন, "রুদ্ধদ্বার বৈঠকে UNSC-তে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছে রাশিয়া। আমরা আশা করি ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তি ও ১৯৯৯ সালের লাহোর চুক্তির ভিত্তিতে তারা দ্বিপাক্ষিক উপায়েই সমস্যা মিটিয়ে নেবে।"  আরও পড়ুন- Lokmanya Tilak Express Derails: সাতসকালেই লাইনচ্যুত ভুবনেশ্বরগামী লোকমান্য তিলক এক্সপ্রেস, ঘটনাস্থলে রেলের কর্তাব্যক্তিরা

গত পাঁচ আগস্ট সংসদে ৩৭০ ধারার বিলোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরকে বিভাজনের পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলকে পাশে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। চিন ছাড়া এর আগেও বহুবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের বক্তব্যকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। চিন ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থায়ী সদস্যদের প্রত্যেকেরই বক্তব্য ছিল, জম্মু-কাশ্মীর ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয়। সেই বিষয় হস্তক্ষেপ করতে চায় না রাষ্ট্রপুঞ্জ। চিন বাদে রাষ্ট্রপুঞ্জের সব সদস্য দেশই পাকিস্তানকে পাত্তা না দিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়াল।