পুলিশের জালে জেএমবি জঙ্গি, অসমের বরপেটা থেকে গ্রেপ্তার খাগড়াগড় কাণ্ডের চক্রী আজহার
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: ANI)

গুয়াহাটি, ১৭ অক্টোবর: পাঁচ বছর ধরে পুলিশ ও তদন্তকারী দলের সঙ্গে লুকোচুরি খেলার পর এবার অসমের বরপেটা থেকে গ্রেপ্তার জেএমবি জঙ্গি (JMB terrorist)আজহার। ধৃত আজহার খাগড়াগড় বিস্ফোরণের (Khagragarh Blust) মূলচক্রীদের একজন। গত পাঁচবছর ধরে আজহারের সন্ধানে গোয়েন্দারা। শুধু খাগড়াগড় কাণ্ডই নয় অসমে ঘটে যাওয়া বিভিন্ননাশকতার পিছনে এই জেএমবি জঙ্গির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এমনই তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এদিন বরপেটা থেকে প্রায় হাতেনাতে আজহারকে গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। আজহারের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের লেখাজোখা নেই। কিন্তু বহুবার আজহারের উপস্থিতির হদিশ পেয়েও তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ। কোনও না কোনওভাবে সেই উধাও হয়েছে। প্রায় পাঁচ বছরের চেষ্টায় এবার পুলিশের জালে এই কুখ্যাত জঙ্গি।

জানা গিয়েছে, বরপেটায় লুকিয়ে আছে খাগড়াগড় কাণ্ডের মূল চক্রীদের একজন, গোপনসূত্রে এনআইএ ও আইবি মারফৎ এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বরাপেটার নির্দিষ্ট বাড়িটায় হানা দেয় পুলিশ। খাগড়াগড় কাণ্ড নিয়ে আলোড়ন শুরু হতেই একের পর এক জেএমবি জঙ্গি ধরা পড়তে থাকে। এই ঘটনায় ভয় পেয়ে যায় আজহার। সে পালিয়ে অসমে আশ্রয় নেয়। এতদিন বরাপেটার এক বাড়িতে নাম ভাঁড়িয়ে আত্মগোপন করেছিল ওই জঙ্গি। আরও পড়ুন-২০২০-র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বেই লড়বে জেডিইউ-বিজেপি, স্পষ্ট করে দিলেন অমিত শাহ

উল্লেখ্য, ২০১৪ -র ২ অক্টোবর বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জঙ্গিদের একটি ডেরায় বিস্ফোরণ ঘটে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়। তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করে এনআইএ। তদন্তে নেমে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি-এর বিশাল নেটওয়ার্কের কথা জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা। এপার বাংলার মাটিকে ব্যবহার করে ওপার বাংলায় ধারাবাহিক নাশকতার প্রস্তুতি চলছিল বলে চার্জশিটে জানায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। বাংলাদেশে ধরপাকড় শুরু হতেই এপারে পালিয়ে এসে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা শুরু করেছিল জঙ্গির দলটি। সেজন্য় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে শুরু করে। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বেশ নির্বিঘ্নেই ছিল জঙ্গিদলটি। একদিন দলেরই এক সদস্যের সামান্য ভুলে বিস্ফোরণটি ঘটে যায়। নিরুপদ্রব বর্ধমানে এই ঘটনায় পুলিশ এনআইএ-র নজর পড়তেই গোটা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই দলেই ছিল বছর পঁচিশের আজহার। চলতি বছরেই সন্দেহভাজনদের বেশ কয়েকজন ধরা পড়লে সে সতর্ক হয়ে যায়। তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না।