নীতিশ কুমার এবং অমিত শাহ (Photo Credit: Twitter)

নতুন দিল্লি, ১৭ অক্টোবর: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) যাবতীয় চিন্তার অবসান ঘটিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ( Amit Shah)। ২০২০-র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (2020 Bihar Assembly Elections) নীতিশ কুমারের নেতৃত্বেই জেডিইউ বিজেপি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়বে। বিজেপি যে নীতিশের হাত ছাড়বে না তা এদিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গেল। বর্তমানে বিহারে ক্ষমতাসীন বিজেপি জেডিইউর জোট সরকার। বুধবার সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইট্টিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, “জেডিইউ বিজেপি জোট একেবারে অটল, কোনওদিনও ভাঙতে পারে না। তাই আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে জনতা দল (JDU) ও বিজেপি (BJP) জোট বেঁধে লড়াই করবে। নীতিশজি-র নেতৃত্বেই সেই লড়াই হবে, এটি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

অমিত শাহ বলেন, এই দুই রাজনৈতিক দল জাতীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যেমন কাজ করছে। তেমনই রাজ্যস্তরে নীতিশ কুমারের নেতৃত্বে কাজ করবে। এদিকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি আগেই বলে দিয়েছেন এই দুই রাজনৈতিক দল নীতিশ কুমারের  নেতৃত্বেই কাজ করবে। তবে বুধবার একই প্রসঙ্গে অমিত শাহর বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বস্তিতে রয়েছেন সেই সব রাজনীতিকরা যাঁরা বিহারে জেডিইউ বিজেপি জোটকে ধরে রাখতে কাজ করছেন। সর্বোপরি বিজেপির রাজনৈতিক অলিন্দের ওজনদার নাম অমিত শাহ, এটা তো মানতেই হবে। তাছাড়া বিহারের বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং সুযোগ পেলেই নীতিশ কুমারকে একের পর এক আক্রমণ করে যান। কানাঘুষো এমনটাও শোনা গিয়েছিল যে বিহারে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে গিরিরাজকে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করে লড়াই করবে। তাই সংশয় একটা ছিলই, তবে অমিত শাহর বক্তব্য জেডিইউ শিবিরে শান্তি এনে দিয়েছে। আরও পড়ুন-মহাত্মা গান্ধীকে হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারী হলেন সাভারকর, তাকেই কি না ভারত রত্ন! তোপ দাগলেন দিগ্বিজয় সিং

বিহারে জোট সরকারের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই রয়েছে এই প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, দুটি রাজনৈতিক দলের জোট হলে সেই দুই পন্থী লোকজন থাকবে। সবক্ষেত্রে মতের মিল হবেও না। তবে মতভেদ যেন কখনওই মনোমালিন্যে বদলে যেতে না পারে সেটা দেখতে হবে। মূলত দ্বিতীয় মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় একজন জেডিইউ নেতাকে মন্ত্রীত্বের আমন্ত্রণ জানানো হলে বেজায় রেগে যায় জনতা দল। দলের তরফে কেন্দ্রের এনডিএ জোটে যোগদানে অস্বীকার করে জেডিইউ। এই ঘটনায় তীব্র আশাহত হয়ে নীতিশ কুমার রাজ্যের মন্ত্রিসভা প্রসারিত করে অনেকে জেডিইউ নেতাকে নিয়ে আসেন। সম্প্রতি পাটনার গান্ধী ময়দানে দশেরা উদযাপন হয়, সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন নীতিশ কুমার সুশীল মোদি-সহ বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতারা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।