
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারবাহিক, রাণী রাসমনি(Rani Rashmoni)-কে নিয়ে জনমনে কৌতূহলের শেষ নেই। দুবছর হয়ে গেলেও এই ধারবাহিকের টিআরপি কিন্তু অনড়, বরং চড়চড়িয়ে বেড়েই চলেছে। রাসমনির ভূমিকায় অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া(Actress Ditipriya)ও বেশ জনপ্রিয়। স্টেজ শো ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার কারণে এই খুদে অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মনকাড়া অভিনয়ে রানির প্রতি মানুষের ভালবাসে বেড়েই চলেছে। স্বামী রাজচন্দ্রের মৃত্যুর প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পারিবারিক গোলযোগ রানিকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছে। এই অবস্থায় কেমন আছেন তিনি?
মাড় বংশের কোনও পুত্র নেই। রানির তিন মেয়ের মধ্যে বড় ও ছোটটিই বাড়িতে থাকেন। জামাই মথুর একমাত্র রানিকে বোঝেন, মায়ের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করা তাঁর কাজ। বাবামশায় রাজচন্দ্রকে দেওয়া কথা রাখতে বদ্ধপরিকর মথুরকে বিন্দুমাত্র পছন্দ করেন না বড়জামাই ও মেয়ে। বড়মেয়ের দারণা যতটা না তালুক রক্ষার দায়ভার তার থেকে অনেকবেশি করে ক্ষমতা প্রদর্শন করাই মথুরের(Mathur) লক্ষ্য। যেনতেনপ্রকারেণ মায়ের কাছে ভাল জামাই হয়ে ওটার প্রতিযোগিতায় জিতে যাওয়া। যদিও মথুর বা তাঁর স্ত্রী জগদম্বা তেমনটা ভাবেন না। কিন্তু তাতে কী যায় আসে পদ্মরানি তো সুযোগ পেলেই ছোট বোন ও জামাই খোঁচা দিতে ছাড়েন না, মাকেও দুকথা শুনিয়ে দেন। একমাত্র জা সরযূবালাকেই (Sarjubala)পাশে পেয়েছেন বিধবা রানি।
স্বামী দিদিকে মেরে ফেলার ছক কষেছে জানতে পেরেই মথুরকে সেখানে পাঠিয়ে দেন সরযূ, তাঁর প্রচেষ্টাতেই প্রাণে বাঁচেন রাসমণি। দেবরের এই আচরণে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ রানি তাঁদের বাড়ি থেকে বের করে দেন। অনেক কষ্টে তালুক বাঁচিয়ে যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে চলেছেন তখন ছোট মেয়ের অসুস্থতা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। ব্রিটিশ রাজের কলকাতায় সম্পূর্ণ একা হাতে মাড় বংশের সম্পত্তি রক্ষা করতে যে দৃঢ়তা প্রয়োজন তা সেই সময়ই ছিল রানি রাসমণির মধ্যে। দিতিপ্রিয়া সুন্দরভাবে সেই চিত্রই নিজের অভিনয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন।