মুম্বই, ২০ ডিসেম্বর: পানামা নথি মামলায় (Panama Paper Case) এ বার ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে (Aishwariya Rai Bachchan) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নানান জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি এই পানাম পেপার কেস?
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে ফাঁস হয়েছিল ১ কোটি ১৫ লক্ষ গোপন নথি। এতে সারা বিশ্বের বড় বড় নেতা, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিত্বদের নাম প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ বিদেশে কত পরিমাণ সম্পত্তি গচ্ছিত রেখেছেন, তা নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল সে সময়। পানামার একটি ল ফার্ম এবং কর্পোরেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা মোসাক ফনসেকা এই নথি তৈরি করেছিল। মূলত কর ফাঁকি দেওয়ার জন্যই বিদেশে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। আরও পড়ুন: Aishwarya Rai Bachchan: পানামা পেপার মামলায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে সমন ইডির, শোরগোল বলিউডে
পানামা নথির দ্বিতীয় দফার তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্র জানিয়েছিল, বিষয়টির ওপর তারা নজর রাখছে। সরকারের তরফে খবর, প্রথম পর্যায়ের পানামা নথির তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন তদন্ত সংস্থা ৭৪টি মামলা করে তদন্ত শুরু করে। এর মধ্যে ৬২টির ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া গিয়েছে। ফলে সরকার ১১৪০ কোটি টাকার অঘোষিত সম্পত্তি চিহ্নিত করতে পেরেছে।
এই ঘটনায় বচ্চন পরিবারের নামও উঠে এসেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অমিতাভ বচ্চনকে ৪টি কোম্পানির পরিচালক করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনটি ছিল বাহামাসে, আর একটি ছিল ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জে। ১৯৯৩-এ এগুলো তৈরি করা হয়। এসব কোম্পানির মূলধন ছিল ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ডলার, কিন্তু এসব কোম্পানি ওই জাহাজগুলোর ব্যবসা করে আসছে, যার মূল্য ছিল কোটি টাকা। ঐশ্বরিয়া রাইকে প্রথমে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়। পরে তাকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার ঘোষণা করা হয় বলে সূত্রের খবর। তবে এই মামলা সম্পর্কে খবর তেমন ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। ঐশ্বর্যকে তলব করার মধ্যে দিয়ে ফের তা প্রকাশ্যে এল। যদিও এই খবরের সত্যতা লেটেস্টলি বাংলা যাচাই করেনি।