![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2019/05/elon-musk-380x214.jpg)
বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থার কর্মীরা অফিসে গেলে টয়লেটপেপার পান না। যেহেতু সংস্থা লসে রান করছে, তাই টয়লেট পেপার দিয়েই কস্টকাটিং শুরু করেছে মালিকপক্ষ। এই খবরে এখন বিশ্বের গাড়ি বাজার গরম। মূলধনে টান পড়েছে, তাই টাকা বাঁচাতে সংস্থার কর্মীদের জন্য টয়লেট পেপাড় কিনছে পৃথিবী বিখ্যাত গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা টেসলা(Tesla)। যদিও খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর তা নাকচ করে দিয়েছেন টেসলা-র সিইও এলন মাস্ক( Elon Musk)। তিনি বলেন, এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই, ভুয়ো খবর।
এরপরই খবর প্রকাশক সংস্থা ইলেকট্রিক ভেহিকেলে( Electric Vehicle) সম্পাদককে বিষয়টি জানান মাস্ক। তার উত্তর দিয়ে সম্পাদক ফ্রেড ল্যাম্বার্ট( Fred Lambert) বলেন, আশা করব খবরটি ভুল। তবে এই চাঞ্চল্যকর তথ্যটি দিয়েছে টেসলার বেশকিছু নির্ভরযোগ্য কর্মীর সূত্র। আপনি তাঁদের সম্পর্কে জানতে পারলে গুলি করে উড়িয়ে দিতে পারেন, যদি অভিযোগটি মিথ্যে হয় তো।
Tesla's new cost cutting-effort is going all the way down to toilet paper https://t.co/omfe88U5gu by @fredericlambert pic.twitter.com/F9QRuk18DT
— Electrek.Co (@ElectrekCo) May 24, 2019
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের গোড়াতেই সংস্থার কস্ট কাটিংয়ে নজর দেন মাস্ক। রীতিমতো ঘোষণা করে জানিয়ে দেন, সংস্থার প্রত্যেকটি খাতে কত কী খরচ হচ্ছে, তা তিনি নজরে রেখেছেন। এবার প্রতিটি খাতে খরচের হিসেব খতিয়ে দেখবেন নিজেই। সেখানে কর্মীদের মাইনে থেকে শুরু করে যাতায়াতের খরচ বাবাদ টাকা কোনও কিছুই হিসেবের বাইরে যাবে না। গত চারমাসেই সংস্থাটি ৭০২ মিলিয়ন ডলার লোকসান হয়েছে। তারপরেই নড়েচড়ে বসেন গাড়ি মেকার এলন মাস্ক।ঠিক করেন চূড়ান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তাঁকে করতেই হবে। আর সেটি শুরু হবে সংস্থার কস্ট কাটিং দিয়েই। এভাবে লোকসানের ঘড়াকে লাভের গুড়ে পূর্ণ করবেন তিনি। এখন টেসলার বাজার দর যাচ্ছে ৬১ বিলিয়ন ডলার। এই মুহূর্তে সংস্থার অ্যাসেট রয়েছে ২০.১ বিলিয়ন ডলার। যা এলন মাস্ককে দেশের ৮০-তম ধনী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য যথেষ্ট।