জেনেভা, ৩০ ডিসেম্বর: 'মহামারীর (Pandemic) সবচেয়ে খারাপ সময়ে এসে পৌঁছেছি আমরা।' সম্প্রতি এভাবেই সতর্কতা জারি করেন মাইক্রোসফট প্রধান বিল গেটস। এবার সেই প্রতিধ্বনি শোনা গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করা হ.য়। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে টেডরস বলেন, ডেল্টা আগেই থেকেই দাপট দেখাচ্ছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। এবার ডেল্টার সঙ্গে হাজির ওমিক্রন (Omicron)। করোনার এই নয়া প্রজাতি অত্যন্ত সংক্রমক। ডেল্টা এবং ওমিক্রন একসঙ্গে হামলা চালালে, প্রায় গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে। আসতে পারে সুনামি। ডেল্টা (Delta) যেভাবে গোটা বিশ্ব জুড়ে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে, ওমিক্রন তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি সংক্রমক। ফলে দ্রুত বিশ্বরে প্রতিটি ঘরে ওমিক্রনের থাবা পৌঁছতে দেরি হবে না। ফলে মহামারীকালে ফের আরও একবার সুনামি শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
টেডরস বলেন, বর্তমানে ওমিক্রন যেভাবে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাবা বসাচ্ছে, তাতে যে কোনও সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে। মহামারীর এই ঢেউ ঠেকাতে স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর ফের গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে। যার জেরে জনজীবন নতুন করে ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তরফে।
আরও পড়ুন: Salman Khan Drives Auto-Rickshaw: পানভেলের রাস্তায় অটো চালাচ্ছেন সলমন খান, ভাইরাল ভিডিয়ো
ওমিক্রন এবং ডেল্টার একসঙ্গে হানাদারির জেরে যে শুধু কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে তাই নয়, স্বাস্থ্য কর্মীরাও পরপর অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা।ওমিক্রন সেভাবে প্রাণ না কাড়লেও, এর প্রভাবে সংক্রমিতর সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা। তবে ডেল্টার মতো প্রাণ কাড়ার ক্ষমতা হয়ত ওমিক্রনের নেই। ওমিক্রনের জেরে মৃদু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটা কিছুটা হলেও ভাল খবর। তবে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। ওমিক্রনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রত্যেককে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা নিরোধের প্রত্যেকটি পদক্ষেপ মেনে চলতে হবে বলে জানানো হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে।