তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ধ্বংসলীলায় মৃত্য মিছিল যেন থামছেই না। ধ্বংসলীলার সপ্তাহ ঘুরতে চলছে, তবু এখনও সমানে ধ্বংসস্তুপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েই চলেছে। সরকারী হিসেব অনুযায়ী তুরস্ক ও সিরিয়া মিলিয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে গেল, এখনও নিখোঁজ বহু। জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের আশা ক্রমশ কমছে। অনেকেই বলছেন, বেসরকারী হিসেবে ভূমিকম্পে মৃত্যু ৪০ হাজারের বেশী। ভারত সহ গোটা বিশ্ব থেকে উদ্ধারকারী দল, সাহায্য এলেও দক্ষিণ তুরস্ক জুড়ে শুধুই হাহাকার, আতর্নাদ আর খিদের জন্য কাঁদছে মানুষ।
ক দিন আগেও যারা ছিলেন বহুতলের বাসিন্দা। তারাই এখন খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন। প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। মানুষের খিদে যত বাড়ছে। বাড়ছে লুটপাটের ঘটনা। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ জনকে লুটপাটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক এমন মহাশক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি। আরও পড়ুন-দিল্লিতে ১৬ বছরের যুবকের সঙ্গে পায়ু সঙ্গম ৫ প্রতিবেশীর, শুনে হতবাক পুলিশও
দেখুন ভিডিয়ো
Take a look at this aerial view of the highway connecting Hatay, Turkey and Aleppo, Syria, after it was destroyed by the devastating Turkey-Syria earthquake. pic.twitter.com/rJpEu2VRh9
— Steve Hanke (@steve_hanke) February 11, 2023
গত সোমবার ভোরে ৭.৭ মাত্রার মহাশক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দক্ষিণ তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়া। প্রাথমিক ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহরের ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম দফায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানার ১১ মিনিট পর আরও একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্কের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের একটি এলাকায়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৭। এরপর সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ তুরস্কের এলবিস্তান জেলার কাহরামানমারাস প্রদেশে ৭.৬ মাত্রার ভয়বাহ ভূমিকম্প হয়। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে সব কিছু।