Photo Credit (Twiter)

ইউক্রেন ইস্যুতে এবার চিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত চান  প্রেসিডেন্ট ভ্লদামির জেলেনস্কি। সম্প্রতি ১ বছর সম্পূর্ণ করল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। আর ১ বছর পরও কোনভাবেই দুই দেশ নিজেদের অবস্থান থেকে ১ ইঞ্চিও সরতে নারাজ। ইতিমধ্যেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে কিয়েভ ঘুরে গেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি শুনক থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও সাহায্যের আশায় ব্রিটেন ঘুরে এসেছেন সম্প্রতি। তবে জেলেনস্কিকে যুদ্ধ মিটিয়ে নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে অংশগ্রহন করার কথা ফোনে জানান চিন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই থেকে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছে ইউক্রেন। চিন রাশিয়ার অন্যতম বন্ধু দেশ । তাই  চিনের সঙ্গে কথাবার্তা চালাতে এবার প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন জেলনস্কি।

তবে তিনি এও জানিয়েছেন যে পুতিনের সঙ্গে তিনি কোন আপোস বা সমঝোতায় যেতে চান না। এবং চিন যাতে রাশিয়াকে কোন অস্ত্র সরবরাহ না করে তার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

ইউনাইটেড নেশনসে চিনের ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর ডাই বিং তার বক্তব্যে এই যুদ্ধকে থামানোর জন্য অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠালে তা শুধু যুদ্ধের আগুনে ঘি ঢালবে এবং এর জেরে সীমান্তে  উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য তাঁর।

ইউক্রেন নিয়ে ইউনাইটেড নেশনসে এগারোতম এমার্জেন্সী সেশনে তিনি জানান, আর্ন্তজাতিক কমিউনিটির উচিত সবাই একসঙ্গে এগিয়ে এসে শান্তি চুক্তির কথা বলা। যুদ্ধকে দীর্ঘতম করলে তার চাপ শুধুমাত্র সেদেশের নাগরিকদের ওপরেই পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিজ স্বার্থের জন্য নানান ধরনের নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়া এবং যথেচ্ছ ভাবে আর্ন্তজাতিক ক্ষমতার অপব্যবহার না করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ কিভাবে থামানো যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য সবাইকে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি।