Russia: কোভিড ভ্যাকসিন গবেষণার ফর্মুলা হাতাতে হ্যাকিং করছে রাশিয়া, এক যোগে অভিযোগ ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডার
প্রতীকী ছবি(Photo Credits: Pixabay)

লন্ডন, ১৭ জুলাই: করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির ফর্মুলা ও গবেষণা চুরি করে নিচ্ছে রাশিয়া। সাইবার অ্যাটাক করে গোটা প্রক্রিয়াটা চালাচ্ছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ করল ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও কানাডা। তিন দেশেরই দাবি, হ্যাকিং গ্রুপের নাম APT29 যেটি Cozy Bear নামেই বিশেষ পরিচিত। এই Cozy Bear-এর সঙ্গে রাশিয়ান ইন্টেলিজেন্সেরই অংশ। অভিযোগ, বিশ্বজুড়ে যেসব চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে সেগুলোকেই টার্গেট করছে এই হ্যাকিং গ্রুপ। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, “করোনা মহামারী সংক্রান্ত গবেষণাকে রাশিয়ার গোয়েন্দারা যে ভাবে নিশানা করেছে তা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের চেষ্টা ব্রিটেন রুখে তো দেবেই, সেই সঙ্গে অপরাধীদের শায়েস্তা করতেও যা করার সবই করবে।”

বলা বাহুল্য, একটি সরকারের তরফে অন্য দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি চর বৃত্তির অভিযোগ তোলার ঘটনা সচারচর ঘটে না। বিশেষ করে ব্রিটেনের মতো দায়িত্বশীল রাষ্ট্র তা করে না। সেদিক থেকে ব্রিটিশ গোয়েন্দা যে অভিযোগ ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে তুলেছেন তা তাৎপর্যপূর্ণ। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এদিন জানিয়েছে, রাশিয়ান হ্যাকারদের এই সব কারসাজি সম্পর্কে আমেরিকা ও কানাডার সরকারকেও গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে ব্রিটেন। যদিও ব্রিটেনের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্রেমলিন। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনওরকম হ্যাকিংয়ের চেষ্টার সঙ্গে রাশিয়া জড়িত নয়। পেসকভের কথায়, “কে বা কারা ব্রিটেনের গবেষণা এবং ফার্মাকোলজিক্যাল কোম্পানিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করছে সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। আমরা এটুকু বলতে পারি এ ব্যাপারে রাশিয়ার কোনও ভূমিকা নেই।” আরও পড়ুন-COVID-19 Vaccine Update: করোনা ভ্যাকসিনের জন্য সুখবর, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ সোমবার

তবে আশার খবরটি হল, রাশিয়ার হ্যাকাররা কোভিড ভ্যাকসিনের গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেনি। ভ্যাকসিন গবেষণা সংক্রান্ত সবকিছুই সুরক্ষিত রয়েছে। কোভিড মোকাবিলার জন্য এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ১৪০ টি ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। এর সবই ট্রায়ালের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে। তবে গবেষণার পর ত্রি স্তর ট্রায়ালে এগিয়ে রয়েছে মূলত দুটি গবেষণা। চিনের সাইনোভ্যাক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেশিয়া ভ্যাকসিন।