Vladimir Putin's Cancer Surgery: ক্যান্সারের অস্ত্রাপচার হবে ভ্লাদিমির পুতিনের, প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধানের কাছে সাময়িক ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন
Vladimir Putin (Photo Credit: Twitter)

মস্কো, ১ মে: কয়েকদিনের জন্য ক্ষমতা থেকে দূরে থাকতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। কারণ তাঁর ক্যান্সারের অস্ত্রাপচার (Cancer Surgery) হতে পারে। সেই কারণে ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রাক্তন প্রধান কট্টরপন্থী নিকোলাই পাত্রুশেভের (Nikolai Patrushev) হাতে সাময়িকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন। ক্রেমলিনের একজন অভ্যন্তরীণ সূত্র এই দাবি করেছেন। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের (Russia's Security Council) বর্তমান সেক্রেটারি পাত্রুশেভকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ কৌশলের একজন মূল স্থপতি হিসেবে দেখা হয়। তিনিই সেই ব্যক্তি যিনি পুতিনকে বুঝিয়েছিলেন যে কিভ নব্য-নাৎসিদের মতো আচরণ করছে।

টেলিগ্রাম চ্যানেল জেনারেল এসভিআর-কে ক্রেমলিনের ওই সূত্র বলেছেন, "আমি ঠিক জানি না যে অস্ত্রোপচারের পর কতদিনে পুতিন সক্ষম হবেন। আমি মনে করি অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ফিরে আসবেন। পুতিন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি ছিলেন না। বদলে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে রাজি ছিলেন। সুতরাং, যখন পুতিনের অপারেশন হবে এবং পরে তাঁর জ্ঞান আসবে, সম্ভবত দুই বা তিন দিনের জন্য় দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ পাত্রুশেভের হাতে চলে যাবে।" আরও পড়ুন: Ukraine: আচমকাই ইউক্রেনে হাজির জো বাইডেনের প্রতিনিধি ন্যান্সি পেলোসি, কিভ গিয়ে পাশে থাকার বার্তা জেলেনস্কিকে

রাশিয়ায় এই ধরনের পদক্ষেপ আশ্চর্যজনক হবে। কারণ রাশিয়ান সংবিধানের অধীনে ক্ষমতা শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে যাওয়া উচিত। টেলিগ্রাম চ্যানেল জেনারেল এসভিআর জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে পুতিনের পেটের ক্যান্সার (Abdominal Cancer) এবং পারকিনসন্স (Parkinson) ধরা পড়ে। তিনি নিজেই অস্ত্রোপচারে দেরি করেছেন। এপ্রিলের দ্বিতীয়ার্ধে অস্ত্রোপচার নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেই সময় হয়নি। এখন চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন যে অস্ত্রোপচারে আর দেরি করা যাবে না। ক্যান্সার, পারকিনসন্স ছাড়াও পুতিনের সিজোএফেক্টিভ ডিজঅর্ডারের (Schizoaffective Disorder) সমস্যাও রয়েছে। এই দ্বিতীয় রোগটির কারণে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। তাঁর হ্যালুসিনেশন বা অতিরঞ্জিত কল্পনাপ্রবণতা এবং ম্যানিয়া অর্থাৎ বাতিকগ্রস্ততার সমস্যাও আছে।

পুতিনের জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে জোর জল্পনা চলে প্রায় রোজই। যদিও ক্রেমলিন সর্বদা দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে যে পুতিনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে। তারা বরাবরই দাবি করেছে এসেছে যে ওইসব আসলে রাশিয়াকে খাটো করে দেখানোর প্রয়াস।