নয়া দিল্লি, ৯ সেপ্টেম্বর: একদিকে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতি মুখথুবড়ে পড়ে। অন্যদিকে তাদের হুঙ্কার এভাবে চললে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে নামবে তারা। এমন পরিস্থিতে পাকিস্তানের বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলনে (Pakistan Global Investors Summit) বেলি ডান্স করিয়ে নিন্দার মুখে পাকিস্তানে। আর্থিক অবনতি (Financial crisis) পরিস্থিতির সামাল দিতে তারা যেন তেন প্রকারে বিনিয়োগ ধরার চেষ্টায় লেগে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হতে ক্ষোভে ও ঠাট্টায় ফেটে পরে ভারতের নাগরিক। ওঠে পাকিস্তানের অর্থনীতির হাল নিয়ে প্রশ্ন।
In Imran Khan's 'Naya Pakistan', belly dancers steal the show at investment summit
Read @ANI Story | https://t.co/M156Rx1yzq pic.twitter.com/1WDR8vFhiy
— ANI Digital (@ani_digital) September 8, 2019
পাকিস্তানের আজারবাইজানের রাজধানী বাকু শহরে সারহাদ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, পেশোয়ারে (Sarhad Chamber of Commerce and Industry (SCCI), Peshawar) ৪ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল বাণিজ্য সম্মেলনের। খয়বার পাখতুনখওয়া বিদেশী বিনিয়োগকে টানার জন্য বিদেশি বেলি ডান্সের আয়োজন করেছিল। এই ভিডিওটি নিয়ে অশ্লীলতার দায়ে ইমরান খান (Imran Khan) ও তাঁর সরকারকে নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে প্রবল ঝড়। আরও পড়ুন, রিচা চাড্ডা-র সাফ কথা, 'মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয় ভারত, এটা লুকিয়ে দেশভক্তি দেখানো যায় না'
When a Country is in State of war, jugularvein cut it off, curfew prevail for more than a month, Dollar, Petrol, Inflation & unemployment rate is on apogee of History, BRT has Turned garbage, this kind of investment bring humiliation to Country. Belly Dance reprenting #Pakistan. pic.twitter.com/wNKtQ5PLxE
— Khalik kohistani (@KhalikKohistani) September 8, 2019
পাকিস্তানের কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও টুইটারে লোকজন বলছে এটা যেন একটা 'নতুন পাকিস্তান'। ভারতীয় নেটিজেনরা বলছে দেশের অর্থব্যবস্থা ঠিক করতে তাঁরা বিদেশি নাচিয়েদের সাহায্য নিচ্ছে। আবার কেউ বলছে ভারতের যেখানে চাঁদে চন্দ্রযান ২ পাঠাচ্ছে সেখানে পাকিস্তান বিনিয়োগ টানতে বেলি ডান্স করাচ্ছে। এরকমই মন্তব্য করছে ক্ষুব্ধ জনতা।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বর্তমান অর্থব্যবস্থা খুবই খারাপ অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সম্প্রতি বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে কম অর্থ প্রদান করতে বাধ্য হয়েছে। দ্রব্যমূল্য প্রবল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নিয়ে প্রবল দুশ্চিন্তায় রয়েছে পাকিস্তানের জনগণও।