মালালা ইউসুফজাই(Photo Credit: Twitter)

নিউইয়র্ক, ২৭ ডিসেম্বর: এই দশকের জনপ্রিয়তম তরুণী হিসেবে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই-এর (Malala Yousafzai) নাম ঘোষণা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ (United Nations)। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছে, বিশ্বব্যাপী নারী শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যে ভূমিকা নিয়েছেন, তাতে তাঁর ধারে কাছে আর কেউ নেই। এখন মালালা ২২। রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁকে শান্তির দূত হিসেবে নিয়োগ করেছে। পৃথিবীর যে প্রান্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, গর্জে ওঠেন মালালা। প্যালেস্তাইনের গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে আফগানিস্তানের কোনও গ্রামে নারী শিক্ষার উপর আক্রমণ- সরব হয়েছেন মালালা। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলার পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও নিজের মত স্পষ্ট করেছিলেন নোবেলজয়ী তরুণী।

সেই সময় মালালা স্পষ্ট বলেছিলেন, কাশ্মীরকে বিচ্ছিন্ন করে রেখে সেখানে বন্দুকের ডগায় মানুষকে রাখা হয়েছে। ভূস্বর্গে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সমালোচনাও শুনতে হয়েছে নোবেলজয়ী এই তরুণীকে। ২০১৮ সালে পাকিস্তানকে রক্ষণভাগে রেখে ভারতকে দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া বৈরিতার সম্পর্কের জন্য দায়ী করল। নেটিজেনরা মালালাকে একহাত নেয়। যে দেশে তার প্রাণটা যেতে বসেছিল, সেই দেশকে সুরক্ষিত রাখতে মালালার উৎসাহের সীমা নেই, এমন কটাক্ষও তাঁকে শুনতে হয়েছে। এদিকে গত বছরই পাকিস্তান সীমান্তে মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম মালালা ইউসুফজাইকে হত্যার চেষ্টায় মূল অভিযুক্ত ফজলুল্লাহ ওরফে মোল্লা রেডিও। ২০১২ সালে স্কুল যাওয়ার পথে বাস থামিয়ে মালালা ইউসুফজাইকে গুলি করেছিল এই মোল্লা রেডিও-ই। পাকিস্তানের এই ঘটনা বিশ্বজুড়ে কন্যাসন্তাদের স্কুলে যাওয়ার অধিকারের লড়াইয়ে নতুন জোয়ার আনে। আরও পড়ুন-Kazakhstan Plane Crash: কাজাকিস্তানে ১০০ জন যাত্রীকে নিয়ে এয়ারপোর্টে ভেঙে পড়ল বিমান, মৃত বেড়ে ১৪

উল্লেখ্য, ১৩ বছর বয়সে তালিবান জঙ্গিদের গুলি লেগেছিল মালালার শরীরে। অপরাধ ছিল, মেয়ে হয়ে স্কুলে যাওয়ার। তারপর টানা ৪৯ দিনের যুদ্ধ। মৃত্যুকে হারিয়ে জীবনের ছন্দে ফিরেছিল মালালা। সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল এই পাক-ভূমিকন্যা। তালিবানি ফতোয়া উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। নিজের একাগ্রতা আজ তাঁকে এই দশকের জনপ্রিয়তম তরুণী নির্বাচিত করল।