
নতুন দিল্লি, ১৪ জুন: বিশ্বজুড়ে করোনার প্রতিষেধক নিয়ে এখনও জারি রয়েছে গবেষণা। ইতিমধ্যে করোনা রুখতে ফাইজার, স্পুটনিক-ভি, কোভ্যাকসিন, কোভিশিল্ডের মতো ভ্যাকসিন মিললেও, এগুলি কতটা কার্যকর তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমেরিকার এক বায়োটেকনোলজি সংস্থা নোভাভ্যাক্স দাবি করে, করোনার সমস্ত রূপের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম নোভাভ্যাক্স (Novavax) ভ্যাকসিন। প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর এই ভ্যাকসিন।
সংস্থার তরফে জানানো হয়, এই ভ্যাকসিনের ৩টি পর্যায়ের ট্রায়াল ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। আমেরিকা ও মেক্সিকোর ১১৯টি জায়গায় প্রায় ২৯,৯৬০ জনের ওপর পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এটি যথেষ্ট সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও পরিবহন করা সহজ এবং এটি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্যাকসিনের সরবরাহ বাড়াতেও সক্ষম বলে সংস্থার দাবি। মাসে একশো লাখ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করবে বলেও জানানো হয়। এরপরে তারা ১৫০ মিলিয়ন ভ্যাকসিনও সরবরাহ করতে পারবে। আরও পড়ুন, রাজ্যে আরও ১৫ দিন কার্যত বিধিনিষেধে কী কী খোলা ও বন্ধ থাকছে?
নোভাভ্যাক্স ভ্যাকসিনটি স্ট্যান্ডার্ড রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়, যার ফলে তা সহজেই সরবরাহ করা যায়। সংস্থা আরও জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর শেষে আমেরিকা, ইউরোপ এবং অন্য কোথাও ব্যবহারের জন্য এই ভ্যাকসিনের অনুমোদনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং ততক্ষণে এটি মাসে এক মিলিয়ন ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।