কলকাতা: রাজনৈতিক চাপানউতোর কাটতে না কাটতেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। পদ্মাপারে মানুষ এবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৬টি জেলার প্রায় ১৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ডুবে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বন্যার জলে ডুবে ফেনী জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যান্য জায়গায় আরও ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন দুই জন। বাংলাদেশের একাধিক সংমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতের ত্রিপুরার ধলাই জেলায় গোমতী নদীর ওপরে থাকা ডুম্বুর বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের পড়ুয়াদের একাংশ ভারতবিরোধী প্রতিবাদ মিছিলও করছেন।
বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গোমতী নদী থেকে জল ছাড়ার জন্য বাংলাদেশে এই বন্যা হয়নি। এই বন্যার জন্য ভারত কোনও ভাবেই দায়ী নয়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বিগত কয়েকদিন ধরেই ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বাঁধের নীচে জলের প্রবাহের কারণেই বাংলাদেশে এই বন্যা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারী বৃষ্টির জেরে ভারতের ত্রিপুরাতেও ব্যপক বন্যা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যার জেরে ত্রিপুরায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তলিয়ে গিয়েছে কয়েক লাখ মানুষের ঘরবাড়ি, জমি।
বাংলাদেশের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে বাংলাদেশ। সেই মতো আজ বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূসের (Chief Advisor Dr. Yunus ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা (Indian High Commissioner Pranay Verma)। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সে দেশের একাধিক উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের এক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বন্যার বর্তমান ও পূর্বের পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বৈঠক হবে।’