ইসলামাবাদ ২০ আগস্ট: মাত্র একদিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের (UNSC)নিরাপত্তা পরিষদে তিরস্কৃত হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সৌজন্যে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গ। রাত পোহাতে না পোহাতেই ফের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। এবার ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে ভারত, এই অভিযোগ তুলে এবার আন্তর্জাতিক আদালতে (ICJ) যাচ্ছে পাকিস্তান। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেন। মূলত কাশ্মীর নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পোড়ানোর পরও থামার লক্ষণ নেই ইমরানের। বরং নব উদ্যমে তিনি কাশ্মীর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করে ফেলেছেন। সেদেশের সংবাপত্র সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিনই কাশ্মীর (Kashmir)প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ইমরান খান (Imran Khan)। জানান, ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে হিংসা ছড়াচ্ছে ভারত। সেখানকার মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এরপর পাকিস্তান সুখদুঃখের সাথী চিনকেই মনের কথা বলে। ইসালামাবাদকে আশ্বাস দিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকে চিন। তবে সেখানেও খালি হাতেই ফিরতে হয় ইমরানকে। তাঁর নালিশ শুনে উল্টে তাঁকেই বকে ধমক দেওয়া হয়। বিষয়টি ভারতীয় ভূখণ্ডের তাই তানিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করলে পাকিস্তানকেই ফল ভুগতে হবে। এইবেলা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নিক ইসলামাবাদ। আরও পড়ুন-কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীকে ফোন সৌদি যুবরাজের, কী বললেন ইমরান খান?
Pakistani government has decided to approach the International Court of Justice over Kashmir issue: Pakistan media pic.twitter.com/SAnOeeSCwe
— ANI (@ANI) August 20, 2019
এদিকে সোমবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) সঙ্গে টেলিফোনিক বার্তা সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও আসে কাশ্মীর প্রসঙ্গ। ৩৭০ ধারা (Article 370) বিলোপের পর পাকিস্তান কীভাবে অসহযোগিতা করছে তার ব্যাখ্যা দেন তিনি। হিংসা ছড়িয়ে শান্তির পরিবেশ নষ্ট করছে ইসলামাবাদ, একথা বলতেও দ্বিধা করেননি নরেন্দ্র মোদি। এরপরেই ইমরান খানকে ফোন করে ধমক দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৫ তারিখেই কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্টেটাস তুলে নেয় ভারত। পরের দিন এনিয়ে গেজেট পেশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত হয়।