রিয়াধ, ১৪ সেপ্টেম্বর: Drone attacks on Saudi state run oil plant: সৌদি আরবের সৌদি আরামকো (Saudi Aramco Oil Plant) নামে সরকারি দুটি তেল উৎপাদন কেন্দ্রে ড্রোন হামলা (Drone attack) হয়। এরপর সেখানে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার ভোর রাতে। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই বিষয়টি জানান। আবকাইক (Abqaiq) এবং খুরেইসে (Khurais) সকালে যেভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল এখন তার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার কেউ করেনি। যদিও রিয়াধের কর্তাদের সন্দেহ, এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে ইরান।
সৌদি আরব সংবাদ সংস্থা সূত্রে (Saudi Press Agency) খবর,' ভোর ৪ টা নাগাদ আবকাইক এবং খুরেইসের আগুন নেভানোর জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টিম কাজ করছিল। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনার পর পূর্ব সৌদি আরবের এই এলাকায় ড্রোন মারফত হামলা কারা চালিয়েছে তার তদন্ত চলছে। ড্রোনটি কোথা থেকে এসেছে এখনও পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া যায়নি। আরও পড়ুন, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির হুমকি, বললেন 'ভারতের সঙ্গে আচমকা যুদ্ধ লাগতেই পারে'
গতমাসেও আমিরশাহির শায়বা প্রাকৃতিক গ্যাস লিকুইফেকশনে ( Shaybah natural gas liquefaction facility) একটি হামলা হয়েছিল। ইয়েমেন হুতিরা (Yemen's Houthis) এই হামলার স্বীকার করেছিল। কিন্তু সংস্থার তরফ থেকে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত হুতির স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল আল মাশিরাতে (Al Masirah TV ) এই ধরণের কোনো হামলার কথা স্বীকার করা হয়নি।
সৌদি আরামকোর এই তেল উৎপাদক খনিটি ধাহরানের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত ৬০ কিমি দূরে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেলের খনি। এই প্ল্যান্টে ২০০৬ সালে আল কায়দা আগেও একবার আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা চালিয়েছিল। ফলে মারা গিয়েছিলো ২ জন নিরাপত্তারক্ষী। এই ঘটনায় ২ জন সৌদি বাসিন্দার যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করে ৩৩ ও ২৭ বছরের কারাবাসে পাঠানো হয়েছিল। তবে সপ্তাহান্তে দেশজুড়ে বাজার বন্ধ থাকায় এই হামলার জন্য এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়বেনা।