প্যারিস, ১৬ ফেব্রয়ারি: নভেল করোনা ভাইরাস (Novel Coronavirus) সংক্রমণে এবার মৃত্যু ইউরোপে। চিনের (China) হুবেই (Hubei) থেকে ফ্রান্সে বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বছর ৮০-র এক বৃদ্ধ। ১৬ জানুয়ারি ফ্রান্সে (France) পৌঁছন তিনি। ২৫ জানুয়ারি অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করা হয়। এরপর মৃত্যু। চিনের বাইরে এর আগে হংকং, ফিলিপিন্স ও জাপান থেকে তিনটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছিল। যদিও এই ভাইরাসের মূল কেন্দ্র চিনই। প্রায় দেড় হাজার মানুষ সেখানে মারা গেছেন। তারা বেশিরভাগ হুবেইয়ের বাসিন্দা। নতুন করে ২৬৪১জন আক্রান্তের খবরও পাওয়া গেছে। চিনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬৬,৪৯২।
ফ্রান্সে মোট সংক্রমিত ১১ জন। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির মেয়েও রয়েছেন। তবে তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ বলে জানা গেছে। চিনের বাইরে ২৪টি দেশে পাঁচশোরও বেশি মানুষ নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। শুক্রবার মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, তাদের দেশে প্রথম কেউ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি বিদেশি। কোন দেশের নাগরিক, সেটা অবশ্য প্রকাশ করা হয়নি। রোগ নিয়ন্ত্রণে ‘তালাবন্ধ’ করা হয়েছে চিনের একের পর এক শহরকে। হাসপাতাল এবং বাড়িত ‘বন্দি’ করা হয়েছে লোকজনকে। এ বার শুরু হল ‘নোটবন্দি’। আরও পড়ুন, ১৮ মাসে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহার, চলতি মাসেই তালিবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করছে অ্যামেরিকা
সংক্রমিত এলাকায় একটা বড় অঙ্কের নোটবন্দি করা হয়েছে। কিছু পরিমাণ নোট রাখা হয়েছে গুদামঘরে। প্রশাসনের কথায়, নোট থেকে যাতে ভাইরাসটি না ছড়ায়, তাই এই ব্যবস্থা। এ ছাড়া সামান্যতম সন্দেহ হলেই লোকজনকে ১৪ দিনের জন্য সব কিছু থেকে আলাদা করে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হচ্ছে। এ নিয়ম অবশ্য শুধু চিনের নয়, পৃথিবীর সব দেশেই। বিশেষজ্ঞদের আবেদন, দিনে বেশ কয়েক বার করে হাত-মুখ ধুয়ে নিন, মুখোশ পরুন। শুক্রবার মৃতের সংখ্যা ১৫২৩ ছুঁয়েছে। সংক্রমণের নিশ্চিত খবর মিলেছে ৬৬ হাজার।