ছবিটি প্রতীকী (Photo: eagleonline)

ন্যাটোয় অর্ন্তভুক্তিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা চালে পা দিয়ে রাশিয়ার ক্রোধে এমনিতেই জ্বলছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করলেও ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সেই যুদ্ধকে আরও জিইয়ে রাখার যাবতীয় প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। পাল্টা কৌশল হিসেবে এবার ইউরোপকে ভাতে মারার চেষ্টায় রাশিয়া।

ইউরোপ সহ একাধিক দেশের কাছে তেলের রপ্তানিকারক হিসেবে রাশিয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপের অধিকাংশ তেলই আসে রাশিয়া থেকে। তবে এবার ইউরোপে নিজেদের দেশের তেল রপ্তানি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। তার বদলে বাকি বেঁচে যাওয়া তেল এশিয়াতে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুতিনের দেশ। রাশিয়ার ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আলেকজান্ডার নোভাক জানিয়েছেন এই তথ্য।

ইউরোপীয়ান দেশের অর্ন্তভুক্তি হিসেবে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য অনেক দেশ পরোক্ষভাবে এগিয়ে এসেছে। ইউক্রেনকে দিয়েছে অস্ত্র সহ নানান সাহায্য। উপরন্তু রাশিয়ার কাছ থেকে তেলও পেয়েছে এই দেশগুলি। তবে আর নয়, শত্রদের ভাতে মারতে এবার তেলের ওপরেই নিষেধাজ্ঞা বসাল রাশিয়া।

যার জেরে ইউরোপের বাজারে তেলের সঙ্কট তো বাড়বেই পাশাপাশি এর জেরে পরিবর্তন হতে পারে বিশ্ব অর্থনীতিতেও।

২০২২ সালে রাশিয়া এশিয়াতে ৪০ মিলিয়ন টন এবং ইউরোপে ১৮০ মিলিয়ন টন কাঁচা তেল সরবারহ করেছিল। এত বিপুল পরিমান তেলের ঘাটতি দেখা দিলে ইউরোপ জুড়ে যে সমস্যা দেখা দেবে তা যথেষ্ট ভালভাবে জানে রাশিয়া। তাই ইউরোপ সহ পশ্চিমাদের চাপে রাখতে নয়া কৌশল রাশিয়ার।