ঢাকা, ২৯ অক্টোবর: সাম্প্রতিক হিংসার (Violence) ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন বাংংলাদেশে (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী এক আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen)। তিনি দাবি করেছেন, সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় দেশে কেউ ধর্ষিত হয়নি এবং একটি হিন্দু মন্দিরও ধ্বংস করা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন যে হিংসায় মাত্র ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে চার'জন মুসলমান। পুলিশের গুলিতে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত বাকি দু'জন হিন্দু।
বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মৃত দু'জন হিন্দুর মধ্যে একজনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল, পুকুরে ঝাঁপ দেওয়াতে অন্য একজনের মৃত্যু হয়েছে। কাউকে ধর্ষণ করা হয়নি এবং একটি মন্দিরও ধ্বংস করা হয়নি। তবে দেবতা বা দেব-দেবীদের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। হিংসার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, এটা হওয়া উচিত ছিল না, সরকার অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়েছে।" মোমেন বলেন, অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। সেই বাড়িগুলি আবারও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। আরও অনেকজনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে।
মোমেন অভিযোগ করেছেন, কিছু অতি উৎসাহী মিডিয়া ও ব্যক্তি সরকারকে বিব্রত করার জন্য সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের হত্যা ও ধর্ষণ নিয়ে বানোয়াট গল্প ছড়াচ্ছে। তিনি জোরের সঙ্গে বলেছেন যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গায় পুজো মণ্ডপের সংখ্যা প্রশংসনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ সরকার তাদের আর্থিক সাহায্য করে।
Reportedly a drug-addict person left a copy of Holy Quran near foot of a deity when there was no worshippers or organizer at Puja Mondop & another person took a photo of it & put it up in social media, sparking outrage, Bangladesh said in a statement
— ANI (@ANI) October 29, 2021
কুমিল্লায় মণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে বিদেশমন্ত্রী বলেন, "পুজো মণ্ডপে কোনও উপাসক বা আয়োজক না থাকার সুযোগ নিয়ে একজন মাদকাসক্ত একটি মূর্তির পায়ের কাছে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখে যায়, আরেক ব্যক্তি সেই ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। যা ক্ষোভের জন্ম দেয়, যার পরিণতিতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।"