দাবানলে হাহাকার অব্যাহত অস্ট্রেলিয়ায়। গত বছর সেপ্টেম্বরে দাবানলের গ্রাসে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ধ্বংস হয়ে যায় প্রায় ২০০০ বাড়ি। মারা যান ১২ জনেরও বেশি মানুষ। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, আগুনের গ্রাসে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ১০০ কোটিরও বেশি বন্যপ্রাণের। জলের ঘাটতি মেটাতে হত্যা সে দেশের প্রশাসনের নির্দেশেই চলতি মাসে হত্যা করা হয়েছে ১০ সহস্র উটকে। খাবারের অভাবে মৃত্যুর দোরগোরায় আরও কয়েক কোটি পশু। সাময়িক বৃষ্টি হয়েছে বটে কিন্তু রেহাই মেলেনি। ধোঁয়ার পুরু চাদরে ঢেকেছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। পূর্ব উপকূলে সিডনি থেকে মেলবোর্ন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। তাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি দাবানল। দাবানলে অসহায় বন্যপ্রাণদের বাঁচাতে তৎপর হয়েছেন পশুপ্রাণীরা। আহত প্রাণীরা প্রাণ বাঁচানোর আশায় জঙ্গল ছেড়ে এদিক ওদিক পালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ (Human Being) দেখলেই জড়িয়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইছে! তাঁদের চোখে মুখে যেন আতঙ্ক। জলের আশায় এদিক-ওদিক পাগলের (Mad) মত ছোটাছুটি করছে তারা। দাবানলের আগুনে দিশেহারা বন্যপ্রাণীরা। এই সময় অস্ট্রেলিয়ার জীবকুলকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হল NSW ন্যাশনাল পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিস।
সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার দুর্গত পশুদের (Animal) জন্য আকাশপথে খাবার (Food) সরবরাহ করার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আকাশ ঝড়ে পড়ছে গাজর-মিষ্টি আলু! জানা গিয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে পশুদের জন্য প্রচুর গাজর ও মিষ্টি আলু ছুড়ে ফেলা হয়েছে। NSW-র শক্তি ও পরিবেশ মন্ত্রী ম্যাট কিন সম্প্রতি এমনই একটি ছবি পোস্ট করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পশুদের জন্য হেলিকপ্টার থেকে কেজি কেজি সবজি ফেলা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'অপারেশন রক ওয়ালাবাই অভিযানে কর্মীরা কয়েক কেজি খাবার (বিশেষত মিষ্টি আলু ও গাজর) হেলিকপ্টার থেকে ফেলেছে।' এই ছবির পাশাপাশি আরও একটি ছবি পোস্ট করেছেন কিন। যেখানে দেখা গিয়েছে সবজি পেয়ে এক খুশি গ্রাহককে। দুর্গত পশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য NSW ন্যাশনাল পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ সার্ভিসকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। আরও পড়ুন: Australia Bushfire: অস্ট্রেলিয়ার দাবানল, বেশি জল খাওয়ায় আজ থেকে ১০,০০০ উট মারবে সরকার!
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে দাবানল (Bushfires)। ছড়িয়ে পড়েছে ক্রমশ দানবের মত। দাবানলের জেরে তীব্র দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে শতাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।পরিস্থিতি ঠেকাতে সাতদিনের জন্য জরুরি অবস্থা (State of Emergency) পর্যন্ত জারি করার সিদ্ধান্ত নিতে হয় সে দেশের প্রশাসনকে