মমতা ব্যানার্জি (Photo Source: ANI Twitter)

মেদিনীপুর, ৭ ডিসেম্বর: সোমবার মেদিনীপুরে সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। মেদিনীপুরে (Midnapore) শুভেন্দুহীন সভা এই প্রথম। সভায় উপস্থিত ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কেউই। নতুন বছরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। বিরোধী বিজেপি প্রায় ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে। এরই মধ্যে মেদিনীপুরের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

"মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীদের কাছে বাংলার মানুষ মাথা নত করবে না", বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি কৃষক আন্দোলনকে তিনি পূর্ন সমর্থন করছেন বলেও জানান। আগামিকালের বনধকে সমর্থন করছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি। আগামিকাল কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। কাল ব্লকে ব্লকে আন্দোলন হবে। দল ভাঙছ, ঘর ভাঙছ, কৃষি আইন প্রত্যাহার কর, নয়তো সরে যাও। কঙ্কালকাণ্ড, কেশপুর যারা করেছে, আজ তারা বিজেপির বড় রক্ষক। সিপিএম রক্ষক, বিজেপি ভক্ষক, কংগ্রেস তক্ষক - এরা বলে কিনা বাংলা চালাবে? বহিরাগতদের আমরা বাংলা দখল করতে দেব না। বহিরাগতরা এসেছে, টাকা বিলোচ্ছে। কোনওভাবে কিনতে পারবে না তৃণমূলকে। পিএম কেয়ার্সের টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ কর। কোন খবর সম্প্রচার হবে, সেটাও ঠিক করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আরও পড়ুন, তৃণমূলের দলীয় মিটিংয়ে 'দু'পয়সার প্রেস' বলে সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের, কটাক্ষ বিজেপির

কয়েকদিন আগেই দুই মেদিনীপুরের সমস্ত দলীয় বিধায়ক ও নেতাদের এই সভায় আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁধির বিধায়ক অধিকারী পরিবারের শুভেন্দু ও শিশির অধিকারী। শুভেন্দু যে সভায় থাকবেন না তা নিশ্চিত। এদিকে পায়ের অস্ত্রোপচারের কারণে শিশিরবাবুও আজ তৃণমূল সুপ্রিমোর সভাতে থাকতে পারছেন না। তবে তিনি যে মমতার সঙ্গেই আছেন, তা আগেভাগেই জানিয়েছে। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ১২ জন বিধায়কের মধ্যে একজন সমরেশ দাস কয়েক মাস আগেই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। শুভেন্দু বাতিলের খাতায় জায়গা নিয়েছেন। এখন দেখার বাকি ১০ জনে ঠিক কতজন সোমবার দিদির নির্দেশ মানেন।

অন্যদিকে “দাদার অনুগামী”, এমন পোস্টারে ছেয়েছে গোটা রাজ্য। বাদ পড়েনি শহর কলকাতাও। তবে ওই যে বললাম শুভেন্দু এখনও জল মাপছেন। তাই তিনি যে কোন দলে রয়েছেন তা বোঝা মুশকিল। তাইতো মমতার সভায় যাওয়া নিয়ে মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে দোলাচাল। আগেভাগেই জেলার বেশ কয়েকজন শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।