ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫০ শতাংশ ভোট গণনা হয়ে গেল। বাংলায় গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬৩ হাজার ২২৯টি আসন আছে। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনগুলি সহ ৩১ হাজারের বেশী গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ২৩ হাজার ৬৮৫টি-তে, বিজেপি ৩ হাজার ৪৬৮টি, বামেরা ১৪৭২টি, কংগ্রেস ৭৯৯টি ও নির্দল সহ অন্যান্যরা ১২১৪টি আসনে জয়ী হয়েছে। শুরুতে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও পরে বাম, কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে আছে বিজেপি। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে দক্ষিণবঙ্গে নিজেদের গড় অক্ষত রাখার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে গেরুয়া গড়ে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির পক্ষে সুখবর নন্দীগ্রামে জয়।
ফলাফলের প্রবণতা যেদিকে তাতে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৭ হাজারের বেশী আসনে জিততে পারে তৃণমূল, সেখানে বিজেপি জিততে পারে সাত হাজারের মত। বাম-কংগ্রেস-মিলিয়ে জিততে পারে ৫ হাজারের মত। আরও পড়ুন-সরাসরি জানুন পঞ্চায়েতের ফল
গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা শুরু হবে পঞ্চায়েত সমিতির। পঞ্চায়েত সমিতির পর গণনা হবে জেলা পরিষদে।
এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলকে শক্ত চ্য়ালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে বিজেপি। তবে এরই মধ্যে বিজেপি সভাপতি ভূষণ মোদকের হার। মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হারলেন বিজেপির জেলা সভাপতি। ফালাকাটা ময়ূরভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভূষণ মোদককে এক ভোটে হারালেন তৃণমূল প্রার্থী বিমল মোদক। প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যে দারুণ ফল করলেও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দারুণ ফল করলেও আলিপুরদুয়ারে খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। তবে তারপর থেকে আলিপুরদুয়ারে বিজেপির সংগঠন দুর্বল হয়েছে, আর শক্তিশালী হয়েছে বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সদলবদলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।