কলকাতা, ২৩ জুলাই: দেখতে দেখতে চার মাস কেটে গিয়েছে। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে আরও জর্জরিত হচ্ছে দেশ। একইভাবে করোনার করাল ছায়া প্রকট হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও (West Bengal Complete Lockdown)। প্রায় প্রতিদিনই রাজ্যে ২ হাজারের উপরে নতুন আক্রান্তের সন্ধান মিলছে। এই পরিস্থিতিতে কড়া লকডাউনে যাওয়া ছাড়া সংক্রমণ রোখার আর কোনও রাস্তা ছিল না। তাই সরকারি নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী শনিবার ২৫ তারিখ সম্পূর্ণ লকডাউনে থাকবে পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার সকালে ছটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। সংক্রমণ রুখতে ও লকডাউন ভঙ্গকারীদের শায়েস্তা করতে সকাল থেকেই পথে নেমে পড়েছে কলকাতা ও জেলার পুলিশবাহিনী। কোথাও কোথাও পদস্থকর্তারাও সঙ্গে রয়েছেন।
যাঁরাই বিনা কারণে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন, তাঁদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলেই গাড়ি সমেত ফেরত পাঠানো হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আইনভঙ্গকারীর গাড়িও বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ। জেলা থেকে কলকাতায় প্রবেশের প্রতিটি রাস্তায় চলছে নাকা চেকিং। একই রকম ছবি ধরা পড়ছে হাওড়া, দুই ২৪ পরগনাতেও। শ্রীরামপুরে এক আইনভঙ্গকারীকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরেও বাজার-দোকান একেবারে বন্ধ। প্রতিটি রাস্তায় চলছে পুলিশি টহলদারি। পূর্ব বর্ধমানেও রাস্তা ফাঁকা। সেখানে সকাল থেকেই বৃষ্টি চলছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়াতেও পুলিশি নজরদারির রাশ আলগা করা হয়নি। বাঁকুড়ার চকবাজারের রাস্তাঘাট শুনশান। লকডাউনে বেসরকারি এবং সরকারি অফিস বন্ধ। পরিবহণও বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। এ দিন রাস্তায় বাস-অটো-ট্যাক্সি তাই পথে নামেনি। আরও পড়ুন-COVID-19 Tally In India: একদিনে আক্রান্ত ৪৫ হাজার ৭২০ জন, ভারতে ক্রমবর্ধমান কোভিডের ছায়া
আগেই বলা হয়েছিল চলতি সপ্তাহে আজ বৃহস্পতিবার ও আগামী শনিবার রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন চলবে। মূলত মুহুর্মুহু বাড়তে থাকা সংক্রমণ রুখতেই রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা। আগামী সপ্তাহে একইভাবে বুধবার ও অন্য একটি দিন লকডাউনের আওতায় আসতে চলেছে। এই দিনগুলিতে ওষুধ ও দুধের দোকান ছাড়া বাকি সবই বন্ধ থাকবে। এদিন শহর কলকাতাও এক প্রকার শুনশান। লকডাউনে কড়া পদক্ষেপ নিতে সাতসকালেই পথে নেমে পড়েছ কলকাতা পুলিশ। শ্যামবাজার থেকে বেহালা, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, টালিগঞ্জ, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় একই ছবি ধরা পড়ছে। শুধু পথেই নয়, লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকেও সিসিটিভি ক্যামেরায় চলছে কড়া নজরদারি।