বর্ধমান, ১২ জুন: প্রাক-প্রাথমিকের ইংরেজি পাঠ্য বইয়ে ইংরেজি অক্ষর ‘U’-র সঙ্গে খুদে পড়ুয়াদের পরিচয় ঘটাতে লেখা হয়েছে ‘Ugly’। ছবির জায়গা কালো মানুষের মুখমণ্ডল। তার পাশে বাংলায় লেখা হয়েছে ‘কুৎসিত’। পড়ুয়াদের এই বইকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই অভিভাবকরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন। শিশু বয়সেই তাঁদের ছেলেমেয়েদের মাথায় কীভাবে বর্ণবিদ্বেষের ধারণা সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তানিয়ে স্কুলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিভাবকেরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনার কেন্দ্রেবিন্দুতে রয়েছে বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুল (Bardwan School)। ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের সংশ্লিষ্ট বিতর্কিত বইটি বাতিলের দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য জুড়ে আলোড়ন পড়তেই আসরে নেমে বিতর্কের মুখে জল ঢেলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
তিনি এদিন বলেন, “বইটি মোটেই সরকারি নয়। সরকারি ছাপা বইও নয়। স্থানীয় স্তরে স্কুল ছাপিয়ে করেছে। আমরা স্তম্ভিত। আমাদের রাজ্যে যারা এই ধরনের বই প্রকাশ করেছে, আমরা তাঁর বিরোধিতা করি। যে দুই স্কুল শিক্ষিকা এটা করেছেন, এই সাহসের জন্য তাদের ২ জনকে সাসপেন্ড করা হল। ওই বইটি পশ্চিমবঙ্গে কোথাও পাঠ্যবই হিসাবে গণ্য করা হবে না। রাজ্যে ব্যবহার করা যাবে না।” আরও পড়ুন-COVID-19 Tally In India: একদিনে সর্বাধিক আক্রান্ত ১০ হাজার ৯৫৬ জন, ভারতে কোভিড রোগীর সংখ্যা এখন ৩ লক্ষ ছুঁই ছুঁই
জানা গিয়েছে, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলের ওই দুই অভিযুক্ত শিক্ষিকা হলেন শ্রাবণী মণ্ডল ও বর্ণালি দাস। এই দুজনেই ওই বইয়ের প্রকাশের অন্যতম উদ্যোক্তা। সংবাদ মাধ্যম এই বিতর্কিত বিষয়টি প্রকাশ্যে আনার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কৃষাঙ্গদের অধিকার রক্ষার লড়াই নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব। মার্কিন মুলুকে অ্যাফ্রো-আমেরিকান জর্জল ফ্লয়েডের পুলিশ হেফাজতে হত্যার ঘটনায় সেখানে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। অভিযুক্ত মিনিয়াপোলিস থানার ওই পুলিশ কর্মীর শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে মার্কিন মুলুকের জনতা। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ ক্যামপেনকে সামনে রেখে চলছে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ।