
কলকাতা, ২ ফেব্রুয়ারি: আজ, বুধবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। বছর পাঁচেক পর রাজ্যের শাসক দলের সাংগঠনিক নির্বাচন হচ্ছে। এখন রাজ্যের একচেটিয়া আধিপত্য দেখানো তৃণমূলের আভ্যন্তরিন নির্বাচনে দেড় হাজার জন ভোট দিচ্ছেন। দলের প্রধান পদের জন্য নির্বাচন হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার একবারে প্রথম দিন থেকে এই পদে আছেন। দলে শেষবার হওয়া নির্বাচনে (২০১৭ সাল) মমতা তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। স্বাভাবিকভাবেই মমতার এই পদে ফের বসা নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
আজ, বুধবারের দলের প্রধান পদে নির্বাচনের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করবেন এরপরে বাকি পদগুলির জন্য নির্বাচন কবে হবে এবং তা কোন নিয়মে হবে। সৌজন্যতা দেখিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রন জানানো হলেও, ডাকা হয়নি দেশের শাসক দল তথা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হওয়া এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে আছেন দলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, দেশের যে কোনও রাজনৈতিক দলকে পাঁচ বছরের মধ্যে সাংগঠিনক নির্বাচন করতে হয়। তারপর সেই নির্বাচনের প্রক্রিয়া- কাঠামো জমা দিতে হয় কমিশনে।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র যাবতীয় চেষ্টা পরেও ঐতিহাসিক জয় পায় তৃণণমূল। এরপর দিন যত গিয়েছে তত শক্তিশালী হয়েছে তৃণমূল। নির্বাচনের আগে যারা দলবদলে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারা তো ফিরছেনই, অনেক বিজেপি নেতা-কর্মীও তৃণমূলে আসছেন। জেলায় জেলায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ক দিন আগে হওয়া কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে তৃণমূল জেতে রেকর্ড ১৩৩টা আসনে। শুধু বাংলাতেই নয় ত্রিপুরা, অসমের পাশাপাশি গোয়া, হরিয়ানাতেও নিজেদের ছঢ়িয়ে দিতে পেরেছে দিদির দল। তৃণমূলের সবচেয়ে ভাল সময়ে হচ্ছে দলের নির্বাচন।