ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ঘোষণা জুনিয়র ডাক্তারদের। হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলো-তে 'ভয়ের ত্রাস'এর পরিবেশ দূর করে ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট (WBJDF)। সোমবার রাতের জিবি বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মঞ্চ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কিছু পরিকাঠামোগত এবং সাংগঠনিক রদবদলের দাবি পূরণ হওয়ায় তাঁরা কর্মবিরতি তুলে কাজে ফিরেছিলেন। কিন্তু তাঁদের হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবি নিয়ে সরকারের তরফে গড়িমসি দেখে মুখ্যসচিবকে ইমেলও পাঠান। তবে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে হামলার ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন কর্মবিরতির। আর সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের মামলার শুনানির পরে রাতে রাজ্যের ২৩টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ ওয়েস্ট 'বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট' জেনারেল বডি বৈঠক বসে। প্রায় আট ঘণ্টা ধরে চলেই এই বৈঠক। বৈঠক শেষে চিকিৎসকেরা জানান, হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলো-তে নিরাপত্তার দাবি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ফের কর্মবিরতিতে যাবেন।
মোট ১০ দফার দাবি নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা দ্বিতীয়বারের কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডাক্তারদের দশ দফার দাবি কী কী?
স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্রুত নিহত চিকিৎসকের বিচার।
স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ।
রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু।
নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে স্থায়ী পুরুষ ও মহিলা পুলিশ নিয়োগ।
হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা তার ডিজিটাল মনিটারিং।
হাসপাতালগুলোতে শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ।
হাসপাতালে 'থ্রেট কালচারের' সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
কলেজভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন। পর্যাপ্ত সিসিটিভি, হেল্পলাইন চম্বর চালু।
মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ছাত্র সাংসদ নির্বাচন।
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডে দুর্নীতির তদন্ত।