পারা, ২৩ মার্চ: পুরুলিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন মমতা। তিনি বলেন, “মা বোনেরা বেঁধে জোট। জোড়াফুলে সব ভোট। নরেন্দ্র মোদির মিথ্যে কথার কারখানা শুধু থাকবে। ওরা আমাকে চমকালে আমি গর্জাই পুরুলিয়ার তৃণমূলকে এমন ভোট দেবেন, বিজেপিকে সোজা ধাক্কা দিয়ে মাঠের বাইরে বের করে দিন। আগামী দিনে খেলা খেলে বিজেপিকে মাঠ থেকে খালি করে দিন। বিজেপি আমাদের উপরে খুব অত্যাচার করছে। আমিও ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। কিন্তু আমার সঙ্গে বিছানায় ঘুমায় বাউরি ঘরের মেয়ে। সে আমার বোন। তাকে আমি মানুষ করি। দুর্যোধন থেকে সাবধান, দুঃশাসন থেকে সাবধান। মনে রাখবেন আমরা মা দুর্গাকে ভালবাসি। মা কালীকে ভালবাসি। মহাদেবের পুজো করি। গণপতির পুজো করি। বাবা সাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন পালন করি। জহর থানে যাই। আমরা সবার পুজো করি। বিজেপি দানবের দল দস্যুদের দল।আমরা বিনা পয়সায় খাদ্য দেব। দারিদ্রতা আমরা রাখতে দেব না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলে পাঁচ লক্ষ টাকা বছরে চিকিৎসার জন্য পাবেন। মেয়েরাই এই কার্ডের অভিভাবক।” আরও পড়ুন-WB Assembly Elections 2021: অমিত শাহর সভামঞ্চে বাজল, ‘কন্যাশ্রীর বোনটা আমার খেলা হবে খেলা হবে!’
“আগে পুরুলিয়া এলে দেখতাম মা বোনেদের মুখগুলো শুকিয়ে গেছে। মাওবাদীদের ভয়ে। আজ সেই পুরুলিয়ায় মাঝি বাগদি, বাউরিরা শান্তিতে আছে। মাহাতরা, মাহেশরা, লেঠরা শান্তিতে আছে।পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। রঘুনাথপুর শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে। পারা, রঘুনাথপুর জুড়ে শিল্পনগরীতে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। লক্ষ লক্ষ ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। বিধবা ভাতার জন্য কাউকেই ভিক্ষে চাইতে হবে না। ১৮ বছর বয়সে বিধবা হলেও পাবে ভাতা। মনে রাখবেন এটা দিল্লির সরকার নয়, তৃণমূলের সরকার। পুরুলিয়ায় অনেক শুকনো জমি। খরা জমি। চাষ হয় না। জল নেই। সেচ হয়না। তাই আমরা ২৫ হাজার হেক্টর জমি বিক্রি করেছি। যেগুলোতে কোনও দিন চাষ হত না। সেই জমিতে ৫৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে জল স্বপ্ন প্রকল্প করছি। নেতুড়িয়া, অযোধ্যায় ৩ হাজার অধিবাসী জল পাবেন। পুরুলিয়ার ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে জল পৌঁছে দেব। একদিকে শিল্পনগরী। অন্যদিকে কর্মসংস্থান।”
তৃণমূল নেত্রী বলেন, “পারা রঘুনাথপুর অঞ্চলে জলের সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। তিনটি পানীয় জলপ্রকল্প হয়েছে। বসানা হয়েছে ৩৩ হাজার টিউবওয়েল। আনমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন মাত্র ১৯ শতাংশ লোক জল পেতেন। এখন ১৯টি জলপ্রকল্প হয়েছে। জাইকাল জলপ্রকল্প জাপান সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ। জাপান কাজে দেরি করেছে।”