কলকাতা, ২১ মে: হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম এবং পূর্ব মেদিনীপুর-সহ বেশ কিছু জেলা আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া দুই চব্বিশ পরগণা এবং কলকাতা পুরোপুরি বিধ্বস্ত। কতটা কী পরিবাণে ক্ষতি হয়েছে জেলাগুলিতে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করছে প্রতিটি জেলাশাসক। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির। আবহাওয়ার একটু উন্নতি হলে আগামী শনিবার দুই চব্বিশ পরগণা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)।
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে পুকুর ডুবে গেছে। যার জেরে জেলায় জেলায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই এলাকাগুলিতে খাবার জল সরবরাহের পাশাপাশি পানীয় জলের যে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটিও সমাধান করতে হবে। বাঁধগুলো দ্রুত মেরামত করতে হবে। মেরামতির কাজে ১০০ দিনের কাজকে যুক্ত করতে হবে। রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ বিস্তীর্ণ এলাকায়। কেবল পরিষেবা বন্ধ। টেলি যোগাযোগ বন্ধ। সেইসমস্ত সমস্যা সমাধানের দ্রুত নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে মেরামত করতে হবে। আরও পড়ুন: Flight Ticket Fare: বিমানের ভাড়া বেঁধে দিল কেন্দ্র, দিল্লি থেকে কলকাতার ভাড়া ৩,৫০০ টাকা
ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অরণ্য নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি অবিলম্বে ঠিক করার পরামর্শ দিলেন মমতা। এছাড়া ঝড়ের জেরে বিপুল গাছ মাটি থেকে উপড়ে গিয়েছে। সেই গাছ লাগানোরও পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।