রাজ্যে বিজেপির উত্থানে বড় ভূমিকা নিলেন মুকুল রায়। (File Photo)

কলকাতা, ২৪ মে: মুকুল রায় (Mukul Roy) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছেড়ে বিজেপি (BJP)-তে যোগদানের পরই শুরু হয়েছিল জল্পনা। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)- কে কবে বহিষ্কার করা হবে দল থেকে তা নিয়ে আলোচনা হত। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) -র কৃপায় বহাল তবিয়তে দলেই থেকে যান বীজপুরের বিধায়ক তথা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। অনেকেই বলছিলেন, মুকুল তার ছেলেকে তৃণমূলে রেখেছেন, ভিতরের খবর রাখার জন্য। কিন্তু তাতেও দিদি-র হুঁশ ফেরেনি। উত্তর ২৪ পরগনায় দলের নিচু তলার একটা বড় অংশ মুকুলের ছেলের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে তখন পাত্তা না দিলেও, দিদির হুঁশ অবশেষে ফিরল ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হওয়ার পর।দলের শৃঙ্খলা ভাঙার অভিযোগে ও প্রকাশ্যে দল বিরোধী কাজের অভিযোগে শুভ্রাংশু রায়- কে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

লোকসভা ভোটে রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার পর প্রথম কোপ পড়ল মুকুলপুত্রের উপরে। এমনিতে দলে কোণঠাসা ছিলেন শুভ্রাংশু। তবে চুপচাপই ছিলেন, দর্শকের ভূমিকাতেই ছিলেন। ব্যারাকপুরে তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীর হারের প্রাথমিক রিপোর্ট আসতেই পরিষ্কার হয়ে যায় শুভ্রাংশুর বীজপুরে বড় সাবোতাজ হয়েছে। তারপর আবার মুকুলের জন্য বিজেপির আসন ১৮-চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মমতা। এই দুই মিলিয়ে শুভ্রাংশুর তৃণমূল থেকে বিদায় নিশ্চিত ছিল।

সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলে থেকেও দলবিরোধী মন্তব্য করেছেন শুভ্রাংশু রায়। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। শুভ্রাংশু-র বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে।