কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: Jadavpur University Violence: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)-র হেনস্থা, তারপর পাল্টা এবিভিপি-র সমর্থকদের ভাঙচুরের ঘটনার উত্তেজনা এখনও আছে। যাদবপুরে বাবুল সুপ্রিয়র হেনস্থা কাণ্ডে বড় মিছিলও করে রাজ্য বিজেপি। সেই মিছিলে উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা কাণ্ডের পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ABVP সমর্থকদের পাল্টা ভাঙচুরের ঘটনা কার্যত সমর্থন করে সায়ন্তন বসু সাংবাদিকদের সরাসরি বলেছিলেন, '' আমার তো মনে হয় ওদের আরও মারধর করা উচিত ছিল। রাস্তায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল যাদবপুরের পড়ুয়াদের। যাদবপুরের পড়ুয়াদের এবার পেটানো শুরু হবে। কাল সেটা হয়নি। আজ থেকে শুরু হবে।'' 'আজকাল' সহ বাংলার বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। আরও পড়ুন-আগামী মাসে রাজ্যের তিন বিধানসভায় উপনির্বাচন, গুরুত্বপূর্ণ এই ভোট নিয়ে জানুন পাঁচ তথ্য
বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা কাণ্ড নিয়ে যেভাবে নিন্দা চলছে, তেমনই এরপর ABVP-র সমর্থকদের ক্যাম্পাসে আগুন, ছাত্রদের গায়ে হাতে তোলা নিয়েও নিন্দা চলছে। সাংবাদিকদের সেই বিষয়ে প্রশ্ন করেন লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট থেকে নুসরত জাঁহানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হওয়া সায়ন্তন বসুকে। সায়ন্তন বসুর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল, নকশাল সিপিএম সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র করে বাবুল সুপ্রিয়কে নিগ্রহ করেছেন।
গতকাল, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের (Jagdeep Dhankhar) পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস (Suranjan Das) ও সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষকে (Pradip Kumar Ghosh) দেখে আসেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি (Partha Chatterjee)। তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খবর নিলেন চিকিৎসকদের কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার যাদবপুরের ঘটনায় ধস্তাধস্তির মধ্যে পড়ে যান উপাচার্য। তিনি এবং সহ-উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। দু’জনকেই ঢাকুরিয়ার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ শিক্ষামন্ত্রী ওই হাসপাতালে পৌঁছন। উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যকে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো ফুলের তোড়া দেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তিনি কথা বলেন উপাচার্যের সঙ্গে। হাসাতাল সূত্রে খবর, উপাচার্য ও সহ উপাচার্যকে আজই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে আগামী এক সপ্তাহ বিশ্রাম নিয়ে তবে কাজে যোগ দিতে পারবেন তাঁরা।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে় পার্থ চ্যাটার্জি বলেছিলেন, "আমরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি দায়বদ্ধ। আমরা আশা রাখি খুব দ্রুত এই ঘটনার ধাক্কা সামলে উঠবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যপাল রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আশা করি তিনি তাঁর পদের গরিমা রক্ষা করবেন।"