কলকাতা, ৩ জুন: রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত ভুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে (Burdwan University) সহ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুর নম করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর (Jagdeep Dhankhar)। করোনা ও আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সঙ্গে এক যোগে তিনি কাজ করত চান বলেও জানিয়েছেন। বুধবার রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। করোনা, আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্য এখন কঠিন সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবাই রাজ্যের তহবিলে সাহায্য করার আবেদন করেন রাজ্যপাল।
বুধবার সকালেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যাানার্জির (CM Mamata Banerjee) সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তোলেন ধনখর। তিনি বলেন, "সকালেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রীও এব্যাপারে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। রাজ্যবাসীর জন্য ভাবা আমার সাংবিধানিক কর্তব্য। করোনা, আম্ফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে সবাই রাজ্যের তহবিলে সাহায্য করুন। এই সঙ্কটে রাজ্য-কেন্দ্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সহযোগিতা করে চলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাছ লাগাতে হবে।" আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাংলার ১ কোটি ছেলেমেয়ের কাছে পৌঁছে গেছে সাইকেল, বিশ্ব সাইকেল দিবসে টুইট মমতা ব্যানার্জির
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়র বিষয়ে তিনি বলেন,"এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিতর্কের সময় নয়। সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। রাজনীতির ঊর্ধ্বে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে চাই। এই ধরণের বিতর্ক শিক্ষাক্ষেত্রে উপকারে আসবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি কোনও ধরনের বিতর্ক চাই না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও মনে করি, এই ধরণের বিতর্ক অবাঞ্ছিত।"
তিনি বলেন, "ভবিষ্যতে একটা মসৃণ প্রক্রিয়া তৈরি হবে বলে মনে করি। মুখ্যমন্ত্রী এবং আমি একই পরিসরের মধ্যে কাজ করছি। এমন ব্যবস্থা চাই, যাতে উপাচার্যরা সমস্যা ছাড়াই কাজ করতে পারবেন। ১৫ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা। রাজ্যবাসীর জন্য কাজ করা আমার কর্তব্য। মুখ্যমন্ত্রী কিছু পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমার সঙ্গে কথা বলেছেন অধীর, আব্দুল মান্নান। রাজ্যের স্বার্থে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে অনুঘটকের ভূমিকা নেব। সহ উপাচার্য বিতর্ক আমি বোতলবন্দি করে দিয়েছি। পুরো বিষয়টা আমি মুখ্যমন্ত্রীর বিবেকের উপর ছেড়েছি।"