বারাকপুর, ২৪ জুলাই: বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা খুলে চলছিল চুরি। চুরি বলে চুরি, একে বলে পুকুর চুরি। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট জাল করে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করে চলছিল প্রতারণা। প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত বিভিন্ন প্রকল্পে চাকরি পাবেন মোটা টাকা দিন, এভাবেও জাল ওয়েবাসাইটে ফর্ম ফিলআপ করিয়ে গ্রামের মানুষেদের বোকা বানাচ্ছিল অভিযুক্ত। এবার দিল্লি থেকে শ্যামনগরে এসে অভিযুক্তকে পাকড়াও করল দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। ধৃতকে এদিন বারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দাবি মঞ্জুর করেছেন। এতক্ষণে শ্যামনগরের ওই প্রতারককে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিশেষ পুলিশের দলটি। আরও পড়ুন-ছাত্রীর নাম ‘West Bengal’, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাতালিকা দেখে পড়ুয়াদের চক্ষু চড়কগাছ
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়(৩৪)। তার বাড়ি বারাকপুরের শ্যামনগরে। সে ওখানে বসেই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জাল ওয়েবসাইট বানিয়ে মানুষজনকে বোকা বানাচ্ছিল। তত্য প্রযুক্তি মন্ত্রকে জমা পড়া অভিয়োগ খতিয়ে দেখে আগেই জাল ওয়েবসাইটটিকে চিহ্নিত করেন ভিজিল্যান্স অফিসার হরিসেবক শর্মা। তারপর দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলে অভিযোগ দায়ের করেন।তদন্তে নেমে দিল্লি পুলিশ জানতে পারে, উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ওই জাল ওয়েবসাইট। জাল সাইট ব্যবহার করে গ্রামের মানুষকে ডিজিটাল সাক্ষরতা দেওয়া এবং সরকারি সুযোগসুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। বিনিময়ে নাম নথিভুক্ত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে মোটা টাকা। আইপি অ্যাড্রেস ও ডোমেনের সূত্র ধরে দিল্লি পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্যামনগরে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
ধৃত উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেও সফটওয়ার ডেভেলপিংয়ে বেশ পাকাপোক্ত। সে যে এতবড় প্রতারণাটা একা করচছে তা নয়, তবে মূল পাণ্ডা সে। তাকে জেরা করলেই বাকিদের হদিশ মিলবে।