ঘূর্ণিঝড় ডানা-র (Cyclone Dana) দাপটে লণ্ডভণ্ড পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃহস্পতিবার রাতে ডানার ল্যান্ডফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur)। দিঘার (Digha) সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস বেড়ে রাক্ষসের রূপ ধারণ করেছিল। ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙে বহু ঘর-বাড়ি, গাছ, ফাটল ধরেছে বাঁধে। ডানার দাপটে ওড়িশা 'মৃত্যু শূন্য' থাকলেও এ রাজ্যে একজনের প্রাণ গিয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় ডানার পরবর্তী পরিস্থিতি (Cyclone Dana Effect) আলোচনায় নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই বৈঠকেই তিনি ডানার হানায় রাজ্যের এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। মুখ্যমন্ত্রী মৃত ব্যক্তির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন। জানান, দুর্যোগের কবলে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। চারিদিকের জমা জল থেকে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ এড়াতে শরণার্থীদের জন্যে মশারির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়াও অন্যান্য রোগ ব্যাধি যাতে না ছড়ায় তার জন্যে ত্রাণ শিবির গুলোতে মেডিক্যাল ক্যাম্প চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্যোগে পড়ে চাষ জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকেরা কী পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন তা যাচাইয়ের জন্যে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেন তৃণমূল নেত্রী। ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রকোপ কেটে গেলেও বিপর্যস্ত এলাকায় গুলোতে এখনও আগামী দুদিন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDFR) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDFR) মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া ত্রাণ শিবির থেকে শরণার্থীরা এখনই যেন নিজেদের বাড়ি না ফেরেন সেই বিষয়েও সতর্ক করেন মমতা।