গত কয়েকমাসে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Medical College and Hospital) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। এমনকী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই নিয়ে প্রতিবাদও হয়। এই ঘটনার প্রভাব রাজ্য রাজনীতিতে এমন ভাবেই পড়ে যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত তদন্তের জন্য বিধানসভায় একটি বিলও পাশ করেন। যে কারণে আরজি কর ঘটনার পরবর্তীতে যে ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটে সেগুলিতে দ্রুত বিচার করে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। কিন্তু খোদ অভযার ঘটনায় তেমনটা হল না।
ধর্ষণের সাজা যাবজ্জীবন?
নির্যাতিতার পরিবারের প্রথম থেকেই দাবি ছিল এই ঘটনায় একা সঞ্জয় রায় নয়, আরও অনেকে জড়িত রয়েছে। তবে তথ্যপ্রমাণের কারণে একা অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদহ আদালত। তারপর অন্তত আশা ছিল যে তাঁর ফাঁসি হতে চলেছে। কিন্তু সোমবার যে সাজা আদালতের পক্ষ থেকে শোনানো হল, তাতে অসন্তুষ্ট নির্যাতিতার পরিবার। সঞ্জয়ের ফাঁসি নির্দেশ দিল না আদালত। উল্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই টাকা দেবে রাষ্ট্র।
ক্ষতিপূরণ নয় এটা নিরাপত্তা
বিচারপতি অনির্বাণ দাস জানান, এই ক্ষতি শুধু একটা পরিবারের নয়, বরং গোটা সমাজের। যেভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সেটা কখনই কোনও ক্ষতিপূরণ দিয়ে ঠিক করা যাবে না। তবে এই অর্থের মাধ্যমে পরিবারকে নিরাপত্তা দিচ্ছে রাজ্য। যদিও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা মানতে নারাজ আদালত। আর সেই কারণেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ৬৪, ৬৬, ১০৩ (১) ধারায় তাঁকে যাবজ্জীবনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ১৭ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ।
ক্ষতিপূরণ চাই না, দাবি পরিবারের
যদিও ক্ষতিপূরণের কথা শুনেই নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তাঁরা ক্ষতিপূরণ চান না, তাঁরা বিচার চান। ফলে প্রশ্ন এখন একটাই এই বিচারপ্রক্রিয়ার কারণে আদৌ কি বিচার পেলেন অভয়ার পরিবার?