ফাইল ফটো (Photo Credit: Wikimedia Commons)

কলকাতা: গত ৯ জন পঞ্চায়েত নির্বাচনের (WB Panchayat Elections) দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়নপত্র (filing of nominations) জমাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা। বেশিরভাগ জায়গায়তে বিরোধদের জোর করে মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মুর্শিদাবাদ থেকে ভাঙড়, সব জায়গাতেই হিংসার শিকার হন বিরোধীরা। সমস্ত ক্ষেত্রেই পুলিশের মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিরোধীদের প্রার্থীদের মারধর করে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। তারই ফল স্বরূপ রাজ্যের প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার বুথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিনা প্রতিদ্বন্দিতা জয়লাভ করে।

এই পুরো বিষয়টির জন্য রাজ্য সরকার (State Government) ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) দিকে অভিযোগের আঙুল দিলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁদের আবেদনেরর ভিত্তিতে হাইকোর্টের রাজ্যের সাতটি স্পর্শকাতর জেলার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাধানের ভোট করানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু, সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন ও রাজ্য সরকার। সেখানে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের রায়ই পুনর্বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই তড়িঘড়ি প্রতিটি জেলার জন্য ২ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানায় কমিশন। আর অতি স্পর্শকাতর ও স্পর্শকাতর এলাকাগুলির জন্য অতিরিক্ত বাহিনী চেয়ে পাঠায়। বিরোধীরা এতে নিজেদের জন দেখলেও এখানেই ক্ষান্ত হয়নি।

পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে হওয়া গণ্ডগোল ও হিংসা জেরে যে ৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাতে রাজ্য প্রশাসন ও কমিশনকে দায়ী করে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই হিংসার মামলার জন্য তদন্তের জন্য সিবিআইকে তদন্ত (CBI probe) করানোর আর্জি জানান। বুধবার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মনোনয়নের সময় হওয়া হিংসার তদন্তের জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। এর ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার চাপে পড়ল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।