Representational Image (Photo Credits: PTI)

কলকাতা, ১৭ মে: সামান্য বাঁক নিলেই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) 'আমফান' (Amphan) রূপ নিতে পারে আয়লার। কোন তটে আছড়ে পড়বে, এখনও তা পরিষ্কার নয়। শনিবার মৌসম ভবন থেকে দুর্যোগের এই আভাসই পাওয়া গেছে। উপকূল থেকে রাজ্যের প্রায় মাঝ বরাবর উত্তরে সরার ইঙ্গিত দিচ্ছে 'আমফান'। তাই বুধবার দক্ষিণবঙ্গে দুর্যোগের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গেও।

২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে চলেছে। প্রথমে ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তরমুখী হলেও, পরে বাঁক নিয়ে তা উত্তর-পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে এগোবে। এখনও পর্যন্ত যা গতিপ্রকৃতি, তাতে মঙ্গল-বুধবার এ রাজ্যের উপকূলে ‘আমফান’-এর আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ ঘূর্ণিঝড়টি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পরে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে অতি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের গতি পৌঁছে যেতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ১৭০-২০০ কিলোমিটার। স্থলভাগের দিকে যত এগবে, তার গতি কিছুটা কমে। আরও পড়ুন, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ মোকাবিলায় বাংলায় NDRF-র ৪টি দল

মঙ্গলবার আমফানের প্রভাবে দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বুধবারই দুই চব্বিশ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঘৃর্ণিঝড় আমফানের (Cyclone Amphan) মোকাবিলায় রাজ্যে আসছে ৪টি এনডিআরএফ (NDRF)-র দল। এনডিআরএফ-র তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তারা যোগাযোগ রাখছে। দুটি রাজ্যেই ৪টি করে দল পাঠানো হয়েছে। ২০টি দলকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর তারা নজর রাখছে।