প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহের চতুর্থ দিন, ১০ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় টেডি ডে। এই দিনে মানুষ তাদের সঙ্গী, বন্ধু বা বিশেষ কাউকে টেডি বিয়ার উপহার দিয়ে ভালোবাসা এবং স্নেহ প্রকাশ করে। টেডি বিয়ার খেলনা হওয়ার পাশাপাশি অনুভূতি প্রকাশের একটি মাধ্যম এবং টেডি ডে ভালোবাসা, স্নেহ ভাগাভাগি করার একটি সুযোগ। একটি সুন্দর টেডি সম্পর্কের মধ্যে নতুনত্ব এবং সুখের মিষ্টতা যোগ করতে পারে। টেডি বিয়ার ভালোবাসা, স্নেহ এবং শৈশবের নিষ্পাপতার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি চাপ কমাতে, সুখ বাড়াতে এবং সম্পর্কের উষ্ণতা আনতে কাজ করে।

টেডি বিয়ার কেবল প্রেমিক প্রেমিকাকেই নয়, বন্ধুদেরও দেওয়া যেতে পারে। আমেরিকান রাষ্ট্রপতি থিওডোর টেডি রুজভেল্টের নামে নামকরণ করা হয়েছিল টেডি বিয়ারের। ১৯০২ সালে তিনি একটি আহত ভাল্লুক শিকার করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর অনুপ্রাণিত হয়ে একজন খেলনা প্রস্তুতকারক ভাল্লুকের মতো একটি নরম খেলনা তৈরি করে এবং এর নাম দেয় টেডি বিয়ার যা খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে টেডি বিয়ারকে আলিঙ্গন করলে অক্সিটোসিন (সুখের হরমোন) বৃদ্ধি পায়, যা মানসিক চাপ কমায় এবং মনকে খুশি রাখে।

ভালোবাসা সপ্তাহে টেডি ডে পালন করার পাশাপাশি জাতীয় দিবস হিসেবেও পালন করা হয় টেডি ডে। প্রতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর পালন করা হয় "জাতীয় টেডি বিয়ার দিবস", যেদিন মানুষ তাদের প্রিয় টেডির সঙ্গে ছবি শেয়ার করে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি টেডি বিয়ারটির দাম প্রায় ১৭ কোটি টাকা বলে জানা গেছে, যা একটি বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি তৈরি করেছে। প্রথম টেডি বিয়ার তৈরি হয়েছিল ১৯০২ সালে এবং আজও পৃথিবীতে এমন টেডি বিয়ার রয়েছে যেগুলোর বয়স ১০০ বছরেরও বেশি।