Rahul Gandhi (Photo Credit:X)

নতুন দিল্লি, ৭ ফেব্রুয়ারি: গত বছর নভেম্বরে হওয়া মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বড় কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুলের অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের যেখানে মোট জনসংখ্যা ৯ কোটি ৫৪ লক্ষ, সেখানে এবার সেখানে ভোট দেন প্রায় ৯ কোটি ৭০ লক্ষ। ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলে রাহুল বলেন, " ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকায় ৩২ লক্ষ নাম যোগ হয়। সেখানে ২০২৪ সালে লোকসভা ভোট ও মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের মাঝে ভোটার তালিকায় যোগ হয় ৩৯ লক্ষ ভোটারের নাম। যেখানে মহারাষ্ট্র ও বিধানসভার মাঝে মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধান ছিল।" এরপর রাহুল অভিযোগ করেন,"বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি লোকসভায় কথা বলেছি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখনও কোনও জবাব দেয়নি।"

ভোটার তালিকা নিয়ে কী বলেছিল কমিশন

গত বছর ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্রের ভোটার তালিকা নিয়ে জানিয়েছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা ও বিধানসভার মাঝে রাজ্যের ভোটার তালিকায় নোট ৪৮ লক্ষ ৮১ হাজার ৬২০ জনের যুক্ত হয়েছিল, আর বাদ দিয়েছিল ৮ লক্ষ ৩৯১ নাম বাদ পড়েছিল।

রাহুল গান্ধীর বিস্ফোরক অভিযোগ

এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সরব সুপ্রিয়া সুলে

 

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস তথা ইন্ডিয়া-র শরিক দল শরদ পাওয়ারের এনসিপি- শীর্ষ নেত্রী তথা সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে রাজ্যে বিধানসভা পুননির্বাচনের দাবি করে বললেন," আমরা সবাই ফের মহারাষ্ট্রে ব্যালট পেপারে ভোট করার দাবি জানাচ্ছি। এমনকি যেখানে আমাদের প্রার্থীরা জিতেছে, সেখানও ব্যালট পেপারে ভোট হোক। রাজ্যে ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা হেরেছি দলের প্রতীক নিয়ে বিভ্রান্তির কারণ, সেটা যারা এখন ক্ষমতায় আছে, তারাও স্বীকার করেছে। আমরা বারবার দাবি করেছিলাম, আমাদের দলীয় প্রতীক বদল করা হোক, কিন্তু সেটা শোনা হয়নি।"

মহারাষ্ট্রের ফলে ছিল চমক

মহারাষ্ট্রে ২০২৪ লোকসভার ফল

মোট আসন: ৪৮

কংগ্রেস+ (INDIA): ৩০

বিজেপি+ (NDA): ১৭

নির্দল : ১

পাঁচ মাস পর

মহারাষ্ট্রে ২০২৪ বিধানসভার ফল

মোট আসন: ২৯৮

বিজেপি+ (NDA): ২৩০

কংগ্রেস+ (INDIA): ৪৬

অন্যান ও নির্দল: ১০

ক'মাস আগে হওয়া মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল দেখে চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। লোকসভা নির্বাচনে মারাঠা ভূমে একেবারে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া বিজেপি ও শরিক দলেরা ক মাস পরেই বিধানসভা ভোটে ৭৫-৮০ শতাংশ আসনে জিতে যায়। যে কংগ্রেস এপ্রিলে হওয়া লোকসভা ভোটের ফলে ১২টি লোকসভা আসন জিতেছিলেন, তার নভেম্বরে হওয়া বিধানসভা ভোটে মাত্র ১৮-তে নেমে যায়। যে বিজেপি লোকসভা ভোটে এক সংখ্যার আসনে নেমে গিয়েছিল, তারাই ক মাস পরে হওয়া বিধানসভা ভোটে প্রায় ৮০ শতাংশ আসে জেতে। একই রকম ফলের ডিগবাজি দেখা যায় রাজ্যের দুই আঞ্চলিক বড় দল- শিবসেনা ও এনসিপি-র সঙ্গেও।

ভোটে অনিয়ম নিয়ে সরব ছিল বিরোধীরা

মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিরোধী দলের নেতারা ইভিএম কারচুপি থেকে ভোটার তালিকা গরমিল, ভোট গণনায় কারচুপি, নির্বাচনে অর্থশক্তির অভিযোগ তোলেন। শরদ পাওয়ারের এনসিপি, উদ্ধভ ঠাকরের শিবসেনা মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের কারচুপি, ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল।