হেমতাবাদ, ১৯ এপ্রিল: “কমিশনকে হাতজোড় করে অনুরোধ করব, একদিনে নির্বাচন করে দিন, মানুষের জীবন নিয়ে খেলবেন না। বিজেপির কথায় চলবেন না।” রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (WB Assembly Elections 2021) পঞ্চম দফা শেষ হয়েছে। সামনে এখনও তিন দফার ভোট বাকি। এদিকে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ভয়াল আকার নিয়েছে। রাজস্থানে লকডাউন হয়েছে। মুম্বইয় চলছে কার্ফিউ। রাজধানী দিল্লিতে লকডাউনে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটের মতো রাজসূয় যজ্ঞ চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কপ্টার চড়ে নিত্য পশ্চিমবঙ্গে আসাযাওয়া করছেন। বিষয়টি নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন তিন দফার ভোট এক দফায় করতে আজ ফের হেমতাবাদের সভা থেকে নির্বাচন কমিশনকে মিনতিপূর্ণ অনুরোধে জানালেন তিনি।
গতকাল জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে কলকাতা শহরে আর কোনও ভোট প্রচার কর্মসূচি করবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার এর শেষ দিন ২৬ এপ্রিল তিনি একটি 'প্রতীকী সভা' করবেন। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তিনি বিভিন্ন জেলায় তাঁর যাবতীয় কর্মসূচির সময় কমিয়ে ফেলছেন। শহরের বাইরে সমস্ত জনসভা ও কর্মসূচি আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ করবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। গতকাল রাত ১১.৫৭ মিনিটে এই বার্তা দিয়েছেন ডেরেক ও'ব্রায়েন। ইতিমধ্য়েই করোনার ছোবলে প্রাণ গিয়েছে সংযুক্ত মোর্চার জঙ্গিপুরের প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর ও সামশের গঞ্জের প্রার্থী রেজাউল হকের। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বীরভূমের মুরারইয়ের বিধায়ক। অনেক দলের প্রার্থীর শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। এখন বাতাসে ছড়াচ্ছে। তাই সামাজিক দূরত্ব বাড়ানো জরুরি। সেকারণে বারবার তৃণমূলের তরফে কমিশনকে জানানো হলেও এখনও কাজের কাজ কিছু হয়নি। আরও পড়ুন-West Bengal: ফের করোনার কোপ, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল রাজ্যের সব স্কুল
এদিন সংক্রমণ নিয়ে মোদিকে বেঁধেন মমতা। বলেন, “করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার পরিবর্তে বাংলার ভোট নিয়েই ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। আট হাজার কোটি টাকার বিমানে চড়ে বাংলার ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ভোটের প্রচারকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনদফার ভোট একদিনে করানোর দাবিতে কেউ কর্ণপাত করল না।” এনিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশংকর প্রসাদ বলেন, নির্বাচন কয়টি দফায় হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত কমিশনের। নির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।