
গত ডিসেম্বরে বাংলার ১২ লক্ষ প্রান্তিক মানুষের অ্যাকাউন্টে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা পাঠানোর কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকায় সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন, এছাড়াও আরও ১লক্ষ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাড়ি হারানো উপভোক্তাও আছেন। জঙ্গলমহলের কিছু অঞ্চল–সহ দুর্গম এলাকার উপভোক্তারা ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে এবং সাধারণ উপভোক্তারা পাবেন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।গোটা বাংলার জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ৭২০০ কোটি টাকা। প্রথম কিস্তিতে এক–একজন উপভোক্তা পেয়েছেন ৬০ হাজার টাকা।সেই সময় নবান্ন থেকে ২১টি জেলার ৪২ জনকে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির চেক ও শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার সরকারের তরফ ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে নতুন নির্দেশিকা জারি করল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর। প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পাওয়ার পরে দ্বিতীয় কিস্তির জন্যে অপেক্ষা না করে যদি কোন উপভোক্তা নিজেরাই বাড়ি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ করতে চায়, তবে তার অনুমতি দেওয়া হবে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের তরফে প্রতিটি জেলা শাসকের কাছে এই মর্মে পাঠানো হয়েছে নির্দেশ । বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আগামী জুন মাসে তাদের দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেতে কোন অসুবিধা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি তৈরীর প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের মতো বেশ কিছু জেলায় হাজার দুয়েকের মতো বাড়ির এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি। আবেদনগুলির নিষ্পত্তি করে দ্রুত টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে য়েত দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা দিতে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৭০০ কোটি টাকার’ও বেশী ব্যয় হয়েছে বলে জানা গেছে।