Mohammed Habib Scored Goal Against Pele's NYCosmos (Photo Credit: InKhel.com/ X)

চলে গেলেন মোহনবাগানের জার্সিতে নিউ ইয়র্ক কসমসের বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালে গোল করা প্লেমেকার মহম্মদ হাবিব। মৃত্যুকালে  প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলারের বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। একসময় ক্লাবগুলো যখন তাদের সেরা খেলোয়াড়দের খুব সামান্য অর্থ দিত, তখন তিনি ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং তার পুরো খেলোয়াড় জীবন জুড়ে সত্যিকার অর্থে পেশাদার ছিলেন, কারণ তিনি ফুটবল খেলাকে মন প্রাণ থেকে তার আসল এবং একমাত্র পেশা হিসেবে বিবেচনা করতেন। হাবিবের কেরিয়ারের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মোহনবাগানের হয়ে সফরকারী কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলা, যেখানে ১৯৭৭ সালে বৃষ্টিতে ভিজে ইডেন গার্ডেনে প্রীতি ম্যাচে কিংবদন্তি পেলেকেও দেখা যায়। পেলে, কার্লোস আলবার্তো, জর্জিও চিনাগলিয়াদের মতো তারকাদের নিয়ে গড়া সফরকারী দলের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করে মোহনবাগান। সেদিনে মোহনবাগানের গোলের তালিকায় ছিলেন তিনিও।  FC Goa vs Downtown Heroes, Durand Cup 2023, Live Streaming: এফসি গোয়া বনাম ডাউনটাউন হিরোস, ডুরান্ড কাপ ২০২৩, সরাসরি দেখবেন যেখানে

তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় পেলের প্রশংসা পাওয়া। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্লু টাইগার্সের ব্রোঞ্জ পদক জয়ী দৌড়ে অবিচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে নিজের নাম লেখান হাবিব।

এরপর ১৯৭১ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাথে পেস্তা সুকান কাপের যুগ্ম বিজয়ীতে ভারতকে সাহায্য করেন। হাবিব ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলেছেন এবং খেলায় অবদানের জন্য তাকে অর্জুন পুরস্কার প্রদান করা হয়। সতীর্থ হায়দরাবাদি সৈয়দ নঈমুদ্দিন ও ম্যানেজার পি কে ব্যানার্জির নেতৃত্বে ব্যাঙ্কককে ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী, কলকাতা ময়দানে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিংয়ের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাবিব। তাঁর  সময়ে ১৯৬০ সালের শেষের দিক থেকে ৭০-এর দশকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগে দীর্ঘ সময়ের জন্য আধিপত্য বিস্তার করেন।

১৯৪৯ সালের ১৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। ৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। এই সময় ১১টি গোল করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে কুয়ালালামপুরে ম্যারডেকা কাপে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। পরে হলদিয়ার ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অ্যাকাডেমির প্রধান কোচের দায়িত্বও সামলেছেন। শেষ জীবনে তাঁর হায়দারাবাদের বাড়িতেই ছিলেন তিনি।