IPL Auction 2024 Remaining Purse: আগামী আইপিএলের রিটেনশনের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সামনের মরসুমে তাদের ধরে রাখা খেলোয়াড়দের তালিকা প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিওয়ালির দিনে রিটেনশনের খেলোয়াড়দের অসাধারণ তালিকা ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। আইপিএলের দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি মোট ৪৬ জন খেলোয়াড়কে ধরে রেখেছে এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা এখন নিলামের জন্য যাচ্ছেন। আগামী মাসে রিয়াদে ২০২৫ আইপিএলের নিলাম অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল এবং মহম্মদ শামির মতো ভারতীয় তারকারা নিলামে অংশ নেবেন। আইপিএলের নিলামে যদিও মোট পার্স ১০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা করা হয়েছে, তবে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি পাঁচজন ক্যাপড খেলোয়াড় রাখে তবে তাদের পার্স থেকে ৭৫ কোটি টাকা কেটে নেওয়া হবে আগেই জানানো হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি গত মরসুমের মাত্র ছয়জন খেলোয়াড়কে রাখতে পারে, রিটেনশন ছাড়া নিলামের সময় রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড ব্যবহার করেও খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবে তারা। IPL 2025: কাদের রাখল, কাদের ছাড়ল দল, দেখে নিন ১০ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়দের তালিকা
রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ডের নিয়ম কি (What is RTM Rule)
রাইট টু ম্যাচ (আরটিএম) কার্ড দিয়ে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের ছেড়ে দেওয়া যে কোনও খেলোয়াড়ের জন্য বিড করতে পারবে। তবে দলগুলি কেবল আরটিএম কার্ড তখনই ব্যবহার করতে পারে যখন তাঁদের রিটেনশনের ছয়জনের একটি বা তার বেশী জায়গা খালি থেকে যাবে। মানে ৫ জন খেলোয়াড়কে রিটেন করলে দল ১টি আরটিএম কার্ড এবং ৪ জনকে রিটেন করলে ২টি আরটিএম কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই আরটিএমের নিয়ম আগামী আইপিএলের জন্য কিছুটা পাল্টে গেছে। আগে একটি দল বিডে জিতলে একই দামে খেলোয়াড়কে কিনতে পারত। তবে আইপিএল ২০২৫ নিলামে, পুরানো ফ্র্যাঞ্চাইজি আরটিএম কার্ড ব্যবহার করলে বিডের জয়ী দলকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে তারা মূল্য বাড়াতে চায় কিনা। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি রাজি হয় তবেই কেবল তারা তাদের খেলোয়াড়কে আবার কিনতে পারবে।
একনজরে ২০২৫ আইপিএলের ১০ দলের রিটেনশন তালিকা?
কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ রিঙ্কু সিং (১৩ কোটি), বরুণ চক্রবর্তী (১২ কোটি), সুনীল নারিন (১২ কোটি), আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), হর্ষিত রানা (৪ কোটি), রমনদীপ সিং (৪ কোটি)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ বিরাট কোহলি (২১ কোটি), রজত পাটিদার (১১ কোটি), যশ দয়াল (৫ কোটি)
চেন্নাই সুপার কিংসঃ রুতুরাজ গায়কোয়াড় (১৮ কোটি), মাথিশা পাথিরানা (১৩ কোটি), শিবম দুবে (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৮ কোটি) এম এস ধোনি (৪ কোটি)
রাজস্থান রয়্যালসঃ সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), যশস্বী জয়সওয়াল (১৮ কোটি), রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ জসপ্রীত বুমরাহ (১৮ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (১৬.৩৫ কোটি), হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৬.৩৫ কোটি), রোহিত শর্মা (১৬.৩ কোটি), তিলক ভার্মা (৮ কোটি)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ হেনরিখ ক্লাসেন (২৩ কোটি), প্যাট কামিন্স (১৮ কোটি), অভিষেক শর্মা (১৪ কোটি), ট্র্যাভিস হেড (১৪ কোটি), নীতীশ রেড্ডি (৬ কোটি)
পঞ্জাব কিংসঃ শশাঙ্ক সিং (৫.৫ কোটি) প্রভসিমরন সিং (৪ কোটি)
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ অক্ষর প্যাটেল (১৬.৫ কোটি), কুলদীপ যাদব (১৩.২৫ কোটি), ট্রিস্টান স্টাবস (১০ কোটি), অভিষেক পোরেল (৪ কোটি)
লখনউ সুপার জায়ান্টসঃ নিকোলাস পুরান (২১ কোটি), রবি বিষ্ণোই (১১ কোটি), ময়ঙ্ক যাদব (১১ কোটি), মোহসিন খান (৪ কোটি), আয়ুষ বাদোনি (৪ কোটি)
গুজরাট টাইটানসঃ রাশিদ খান (১৮ কোটি), শুভমন গিল (১৬.৫ কোটি), সাই সুদর্শন (৮.৫ কোটি), রাহুল তেওয়াটিয়া (৪ কোটি), শাহরুখ খান (৪ কোটি)
রিটেনশনের পর আইপিএলে কোন দলের পার্সে কত টাকা এবং আরটিএম
কলকাতা নাইট রাইডার্সঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৫১ কোটি টাকা। তাঁদের কোনো আরটিএম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৮৩ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ৩টি।
চেন্নাই সুপার কিংসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ১টি।
রাজস্থান রয়্যালসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৪১ কোটি টাকা। তাঁদের কোনো আরটিএম কার্ড ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ১টি।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ১টি।
পঞ্জাব কিংসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৯.৫ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ১১০.৫ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ৪টি।
দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ২টি।
লখনউ সুপার জায়ান্টসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ১টি।
গুজরাট টাইটানসঃ ১২০ কোটি থেকে খরচ হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। বাকি পার্সে রয়েছে ৬৯ কোটি টাকা। তাঁদের আরটিএম কার্ড রয়েছে ১টি।