প্রতি বছর ৫ জুন গোটা দুনিয়ায় পালন করা হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে পালিত হয় এই দিনটি। আমাদের দেশ ভারত তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়। পাহাড়, নদী, সমুদ্র, জলপ্রপাত ও হ্রদে পরিপূর্ণ এই দেশের কোণে কোণে দেখতে পাওয়া যায় পর্যটকদের ভিড়। জুন মাসে প্রচন্ড গরমে দেশের বিখ্যাত পর্যটন স্থানগুলোতে ঘুরতে যায় ভ্রমণপ্রিয়রা। তবে পর্যটকদের ভিড়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারিয়ে অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে পর্যটন স্থানগুলো। ভ্রমণকারীরা জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে দূষিত করে সেই জায়গাগুলো।
পাহাড়ি স্টেশন বা অন্যান্য স্থানে বেড়াতে গেলে পরিবেশকে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে কিছু জিনিসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত ভ্রমণকারীদের। নদী, সমুদ্র, হ্রদ বা জলপ্রপাত আছে এমন কোনও জায়গায় ভ্রমণে গেলে সেই জায়গাগুলো যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেই বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বোটিং করলে বা স্নান করলে প্লাস্টিক, পলিথিন বা অন্যান্য জিনিস ফেলা উচিত নয়। এর ফলে জল পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি জলজ প্রাণীদেরও কোনও ক্ষতি হবে না। ট্রেকিং বা ক্যাম্পিং করার জন্য যাওয়া হয় উদ্যান বা সবুজ পাহাড়ে, সেখানে খাদ্য সামগ্রী প্লাস্টিক বা পলিথিনে নিয়ে গিয়ে সেই প্লাস্টিক বা পলিথিন ওই স্থানেই ফেলে আসে অনেকেই। এর ফলে নোংরা ছড়ায় এবং জীব জন্তুর জন্য ওই পরিবেশ ক্ষতিকারক হয়ে ওঠে।
সড়কপথে পাহাড়ি স্টেশনগুলিতে যাওয়ার ফলে বেশি পর্যটকের কারণে সেখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যানবাহন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকে, যার ফলে দূষণ ছড়ায়। ডিজেল পেট্রোলের কারণে বাড়তে থাকে বায়ু দূষণ, যা ওই পরিবেশের বিশুদ্ধ জলবায়ু নষ্ট করে। একটি বিশুদ্ধ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবেশের জন্য, ইকো-ট্যুরিজম ব্যবহার করে গন্তব্যে যাওয়া উচিত। বাগান, বন বা যেকোনও পরিবেশগত স্থানে ছোট বড় প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়, যা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে ভ্রমণকারীরা অনেক সময় নিজেদের মজার জন্য প্রাণীদের ক্ষতি করে। চোরাকারবারির জন্য হরিণের মতো প্রাণী শিকার করা হয়। এতে পরিবেশের বড় ক্ষতি হয়। পরিবেশ রক্ষার জন্য এই সব কাজ বন্ধ হওয়া খুবই জরুরি।