No Shave November 2019: 'নো শেভ নভেম্বর' ...দাড়ি না কামানোর এই মাস কেন পালন করা হয় জানতেন?
Beard bouquet styles (Photo credits: Instagram/rachellwolnik)

চলছে দাড়ি (Beards) না কামানোর মাস নভেম্বর (November)। হিড়িকের হাওয়ায় পাল তুলে 'নো শেভ নভেম্বর (No Shave November)।' কিন্তু খামোখা দাড়ি কামাবেন না কেন? ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করবেন বলে? সে করতেই পারেন। কিন্তু এই হ্যাশট্যাগ শুরুর পিছনে রয়েছে একটা যুক্তিপূর্ণ রহস্য। তথ্য বলছে, পুরুষদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতেই নভেম্বরে গোঁফ (Mustache) বাড়ানোর কথা বলা হয়। নিষেধ করা হয় শেভ করতে। এই বার্ষিক অনুষ্ঠানের নাম 'মভেম্বর (Movember)।' যে অনুস্থানের লক্ষ্য পুরুষদের স্বাস্থ্যের (Men's Health) পরিবর্তন আনা। পুরুষদের ক্যান্সার (Cancer), আত্মহত্যা (Suiside) কমাতেই নাকি এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়ে থাকে।

এই সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিচালনা করে থাকে 'মভেম্বর ফাউন্ডেশন' (Movember Foundation) নামে একটি সংস্থা। মভেম্বর ডট কম-এ এটি অনুষ্ঠিত হয়। মভেম্বরের লক্ষ্য ছিল ক্যান্সার সনাক্তকরণ, নির্ণয় এবং চিকিত্সা (Treatment)। শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর সংখ্যা হ্রাস করা। মভেম্বর ফাউন্ডেশন পুরুষদের ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারায় (Lifestyle) অভ্যস্ত হতে উৎসাহ দেয়। ২০০৪ সাল থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। ২০১২ সালে গ্লোবাল জার্নাল (Global Journal) মভেম্বরকে বিশ্বের শীর্ষ ১০ টি এনজিও-র তালিকায় স্থান দিয়েছে। ‘নো শেভ নভেম্বর-এর উদ্যোক্তারা বলছেন, দাড়ি কমানোর খরচ বাঁচিয়ে তা ক্যান্সারের চিকিৎসায় দান করুন। প্রত্যেক বছর এই মাসে দাড়ি কামোনোয় যে খরচ আপনি করে থাকেন সেই খরচের টাকা জমিয়ে রাখুন ক্যান্সার রোগীদের জন্য। প্রচার সুবিধার্থে টি-শার্টও বানিয়ে ফেলেছেন ‘নো শেভ নভেম্বর’এর উদ্যোক্তারা। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় চলছে এই ট্রেন্ড- #noshavenovember। আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে নিশ্চিন্তের আশ্রয় সাজিয়ে আপনার অপেক্ষায় দুয়ারসিনি

তাছাড়া আপনাদের জানাতে পারি দাড়ি রাখার এমন কিছু গুণাবলি, যা জানলে আপনি এক্ষুনি ছুঁড়ে ফেলে দেবেন আপনার সংগ্রহে থাকা রেজারটি -

রোদ থেকে বাঁচোয়া- আপনি যদি সানস্ক্রিনে (Sun Screen) ব্যয় করতে না চান তবে মুখ জুড়ে রাখুন বড় দাড়ি। কারণ বিজ্ঞান বলছে, দাড়ি সূর্যরশ্মির বিরুদ্ধে ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করে। ৯৫ শতাংশ সূর্যরশ্মিই ঠেকাতে পারে আপনার দাড়ি।

বয়সের ছাপ সহজে না বুঝতে দেওয়া- অ্যান্টি-এজিং (Anti-Ageing) হিসেবেও বাজার জমাতে পারে দাড়ি। মানে আমরা দাড়ি দিয়ে আপনি লুকিয়ে ফেলতে পারেন আপনার বয়স। একবার দাড়ি রেখেই দেখুন না। এক ঝটকায় বয়স ৫০ থেকে ৩৫ হয় কি না!

ব্যাকটেরিয়া হাত থেকে মুক্তি- দাড়ি নাকি জীবাণু থেকেও মানুষকে দূরে রাখে। ব্রণর মতো ত্বকের (Skin) অবস্থার রোধ হতে পারে যদি আপনার মুখ জুড়ে শোভা বাড়ায় একরাশ দাড়ি।