মশার কামড়ানোর পর ব্যথা করলেও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই ব্যথা কমে যায়, তবে মশার হুল শরীরে প্রবেশ করার মাধ্যমে বিপজ্জনক ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে, যা অনেক সময় হয় অসুস্থতার কারণ। এই ভাইরাসের ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ হতে পারে। সমস্ত মশার কামড় বিপজ্জনক না হলেও রোগের ঝুঁকি কমাতে মশার কামড় থেকে এড়িয়ে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, উত্তরাখণ্ডে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে বেড়ে গিয়েছে ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি।
চিকুনগুনিয়া সংক্রমণের লক্ষণগুলি হল হঠাৎ উচ্চ জ্বর, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া, জ্বর হওয়ার ৪ দিন পর ফুসকুড়ি হতে শুরু করে। এছাড়া চোখের পিছনে ব্যথা, জয়েন্ট এবং পেশী ব্যথার মতো সমস্যা হয়। এগুলির মধ্যে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর এবং জয়েন্টে ব্যথা। এছাড়া চিকুনগুনিয়া রোগীদের মাথাব্যথা ও জয়েন্টে ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার উপসর্গগুলো একই রকম হয়।
ডেঙ্গুর তুলনায় চিকুনগুনিয়ায় ব্যথা অনেক বেশি হয়। ডেঙ্গু হলে অনেক ক্ষেত্রে রক্তপাত এবং শ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দেয়। ডব্লিউএইচওর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬.৫ মিলিয়ন এবং তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৭৩০০ জনের। মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্য লম্বা হাতা জামা পরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হবে। বাড়ির ভিতরের এবং বাড়ির চারপাশে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। কোথাও বেশিক্ষণ জল জমতে দেওয়া চলবে না।