
আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবারই শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি সফরে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি অনুরাকুমার দিশানায়েক (President Anura Kumara Dissanayaka)। তৃতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম লঙ্কাসফর করতে চলেছেন মোদী। ২০২২-এ যখন শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সংকটের মুখে পড়েছিলেন, তখন তাঁদের পাশে চীনের পাশাপাশি ভারতও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন। তারপর এই সফর কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রতিরক্ষা চুক্তির দিকে তাকিয়ে ভারত
জানা যাচ্ছে, আগামী ৩ দিনের জন্য শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন মোদী। ৬ এপ্রিল ভারতে ফিরবেন তিনি। এই সফরে ঋণ কাঠামো পুনর্গঠন, ডিজিটাল সংযোগ, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থায় সহ একাধিক চুক্তিপত্রে সাক্ষর হবে। তবে এসবের মাঝে দুই দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হবে কিনা এখন সেটাই দেখার। এই চুক্তি হলে ৩৫ বছর আগে শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতের শান্তিবাহিনী প্রত্যাহারের ঘটনাকে ভুলিয়ে দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এর আগে ভারতের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়নি।
শ্রীলঙ্কার ওপর প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন
প্রসঙ্গত. শ্রীলঙ্কার ওপর ক্রমশই প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। ২০২২-এর পর থেকে এই প্রভাব আরও বেশিমাত্রায় পড়ছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর কূটনৈতিকভাবে কতটা সফল হয় এখন সেটাই দেখার। নয়াদিল্লির তরফ থেকে এখনই এই সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করছে না।