প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হল স্ট্রোক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এর প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা। স্ট্রোক একটি অত্যন্ত গুরুতর সমস্যা, সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে একজন ব্যক্তিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, অনেক সময় মারাত্মকও হতে পারে।

তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে ভারতে ১.২৫ মিলিয়নেরও বেশি স্ট্রোকের ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের সময় মানুষের মধ্যে স্ট্রোক এবং মস্তিষ্ক সংক্রান্ত সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সব দেশেই গত কয়েক বছরে স্ট্রোকের ঘটনা বেড়েছে। তাই বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হয়।

২০০৪ সালে বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা কর্তৃক প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থার পক্ষ থেকে এই দিনটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষকে স্ট্রোকের লক্ষণ, ঝুঁকির কারণ এবং প্রতিরোধের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করা। ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয় এই দিনটি। সেই থেকে প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব স্ট্রোক দিবস।

স্ট্রোক হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কে উপস্থিত রক্তনালীগুলি ফেটে যায় বা ধমনীতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো স্ট্রোকের চিকিৎসা না হলে তা শারীরিক অক্ষমতার কারণ হতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, স্ট্রোকের কারণে একজন ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে স্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণগুলি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা জরুরি।